air pollution

বায়ু দূষণ

শিল্পায়ন এবং নগরায়নের ক্রম বিকাশের মেগাসিটি ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। সকল কর্মকাণদের এটিই মূলকেন্দ্র। প্রায় ৯০ লক্ষ নাগরিক নিয়ে ঢাকা বিশ্বের অন্যতম জনবহুল একটি নগরী। যদিও আধুনিকতার অগ্রগতির সাথে সাথে অনেক নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এর সাথে সাথেই নানা সমস্যারও উদ্ভব হচ্ছে। বায়ু দূষণ সেগুলোর মধ্যে একটি।

বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশের তালিকায় থাকা বাংলাদেশ অনেকদিন ধরেই বায়ু দূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। ঢাকাও নিয়মিতভাবেই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ওপরের ইদিকেই রয়েছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যা, অপরিকল্পিত নগরায়ন, শিল্পায়ন এবং যান্ত্রিক বাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বায়ু দূষণের পরিমাণ যেমন বেড়েছে, তেমনি পৃথিবীর অবসবাসযোগ্য শহরেই তালিকায় সিরিয়ার দামেস্কের পরেই স্থান করে নিয়েছে ঢাকা। ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্ট ইউনিটের(ইআইইউ) বার্ষিক বৈশ্বিক জরিপ অনুযায়ী এমন তথ্যই মিলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশবিদরা বায়ুর মানের সূচক (একিউআই) তৈরি করেছে, যেটি স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ানোর ইঙ্গিত সম্বলিত ছয়টি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত। একিউআই এর মান ৩০০ এর ওপরে মানে বায়ুর মান বিপজ্জনক এবং ৫০ এর নীচে মানে বায়ুর মান ভালো। সূচকটি পরিষ্কার বায়ু আইনের অধীনে পাঁচটি দূষণকারী মানদণ্ডের ভিত্তিতে গঠিত: স্থল-স্তরের ওজোন, কণা উপাদান, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড এবং নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড।

বাংলাদেশের জন্য অনুমোদিত বায়ুর মান সূচক (একিউআই)

উৎস: ডিওই, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ

২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারির হিসাব অনুযায়ী ঢাকার বাতাসের মান ১৭২ একিউআই, যা অস্বাস্থ্যকর। আবার, ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারির তথ্যানুযায়ী, এই মান বেড়ে হয়েছে ৩৬১ একিউআই যা চরমভাবে অস্বাস্থ্যকর। বাড়ি থেকে বের হলেই ভারী ধোয়ার একটি আস্তরণ লক্ষ্য করা যায়। কেননা সড়কের ধুলাবালি, ত্রুটিপূর্ণ গাড়ির ইঞ্জিন থেকে বের হওয়া ধোয়া এবং নির্মাণাধীন ভবনগুলোর ইটের কণা বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এর মাধ্যমে ঢাকা শহরের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলো হলো: মিরপুর, মানিক মিয়া এভিনিউ, তেজগাঁও, ফার্মগেট, মতিঝিল, লালমাটিয়া এবং মহাখালী। শহরের পুরনো ‘ঐতিহ্য’ অনুযায়ী, এই দুর্বল সময়েই রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও নির্মাণ সংক্রান্ত কাজ এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার মেরামতো কাজ শুরু হয়। অল্প বৃষ্টি এবং বাতাসের শুষ্কতার সাথে জোরালো বাতাসে ভেসে আসে নির্মাণাধীন ভবনের ধুলা, ইটের কণা। এই শহরের আরেকটি পুরনো অভ্যাস হলো, এই সমস্ত কাজগুলো অসমাপ্ত রেখে দেয়া। পয়ঃনিষ্কাশনের পাইপ বসানোর জন্য খোঁড়া গর্তগুলো খুব কম সময়ই ভরাট করতে দেখা যায়। অর্ধসমাপ্ত ভাবে কাজ রেখে দেয়া শহরের সকল জায়গাতেই দেখা যায়। খোঁড়াখুঁড়ি এবং নির্মাণের এই রীতিই শহরে বায়ুতে ক্ষতিকর উপাদান ভেসে বেড়ানোর অন্যতম প্রধান কারণ। কর্তৃপক্ষও এই ব্যাপারে সচেতন। কিন্তু খুব অল্প ক্ষেত্রেই তারা এমন কর্মকাণ্ড রুখতে ব্যবস্থা নেন।


টোটাল এনভায়রনমেন্ট জার্নালে ২০১৯ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় ধাতু সম্বলিত রাস্তার ধুলাবালির কারণে ঢাকায় মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি মূল্যায়ন করা হয়েছে। চিহ্নিত সকল ধাতুর বিষাক্ত প্রভাব রয়েছে এবং এগুলোর মধ্যে আর্সেনিক, ক্রোমিয়াম এবং ক্যাডমিয়াম ক্যান্সারের জন্য দায়ী। এই গবেষণা ঢাকার ধুলাতে সাধারণের চেয়ে ২০০ গুণ বেশি ক্যাডমিয়ামের উপস্থিতি পেয়েছে। জিংক, আর্সেনিক এবং নিকেলের উপস্থিতিও প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ছিল।


সাম্প্রতিক সময়ে প্রফেসর সালাম স্কুল শিক্ষার্থীদের ওপর বায় দূষণের ঝুঁকি মূল্যায়ন বিষয়ক দুটি গবেষণায় অংশ নিয়েছেন। “আমরা ১০টি স্কুলের ২৫০ জন্য শিক্ষার্থীর ক্লাসরুম এবং খেলার জায়গায় বায়ু দূষণের মাত্রা পরীক্ষা করেছি। আমরা তাদের ফুসফুসের কার্যকারিতাও পরীক্ষা করেছি। আমরা ৫৫-৬০ শতাংশ স্কুল শিক্ষার্থীর ফুসফুসের কার্যকারিতা আদর্শ মানের চেয়ে কম পেয়েছি। যেখানে উচ্চমাত্রার দূষণ, সেখানে ফুসফুসের কার্যকারিতার ওপর প্রভাবও বেশি।” এই গবেষণায় বায়ু দূষণের ফলে শিশুদের কাশি, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, মাইগ্রেন এবং মাথা ব্যথাও হলো বলে জানা গিয়েছে।


ঢাকা শহরের বাতাসে ধোয়ার আস্তরনের জন্য দায়ী দূষণকারী কণাগুলোর ৫৮ শতাংশ শহর এবং এর আশেপাশের ইটভাটাগুলো থেকে আসে। ১৮ শতাংশ রাস্তা এবং মাটির ধুলা, ১০ শতাংশ গাড়ি, ৮ শতাংশ জৈববস্তু পোড়ানো এবং ৬ শতাংশ অন্যান্য উৎস থেকে আসে। কিন্তু বায়ু দুষণে প্রধান দুটি কারণ হলো-

  1. যান্ত্রিক গাড়ি

ঢাকা শহরের ৮০ শতাংশ বায়ু দূষণের জন্য ডিজেল চালিত যানবাহনগুলো দায়ী। কেননা তাদের অধিকাংশই অনুমোদিত এমিডেশন স্ট্যান্ডার্ড ডিজেলকে স্থগিতকারী পার্টিকুলেট ম্যাটার (এসপিএম) মেনে চলে না যেগুলো অঙ্কুর বহন করে। অঙ্কুর বায়ুমণ্ডলের দৃশ্যমানতা হ্রাস এবং ফুসফুসে জৈব উপাদান বহন ও শোষণের জন্য দায়ী। এই যানবাহনগুলোর মধ্যে ডিজেল চালিস বাস এবং ট্রাক অধিকাংশ দূষইত কণা এবং অন্যান্য গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের জন্য দায়ী।

   2. শিল্পায়ন

বাংলাদেশে অনিবার্য অর্থনৈতিক বিস্তারের ফলে অসংখ্য কারখানা গড়ে উঠছে। একারণে বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকর ধোয়ার পরিমাণও বাড়ছে। বিদ্যুৎ, পরিবহন এবং তাপের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারের ফলে এটি ব্যাপকহারে ঘটছে।

কিন্তু পরিবেশ বিভাগের পরিচালক মো. জিয়াউল হক জানান, বাংলাদেশকে দূষিত দেশের তালিকায় উপরের দিকে নেয়া রিপোর্টটিতে কিছু গড়বড় ছিল। তিনি বলেন, “ঢাকা এবং পুরো বাংলাদেশের বায়ুর মানে পার্থক্য রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে এবং অন্যান্য জেলাগুলোর বাতাস ঢাকার তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।”


বায়ু দূষণের জন্য দুই ধরনের দূষিত পদার্থ দায়ী: গ্যাসীয় এবং দূষক কণা। ডিওই ঢাকার বাতাসে দূষক গ্যাসগুলো যেমন কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড, ওজোন এবং মিথেনের আশংকাজনক উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছে। মানবদেহ বিশেষ করে শ্বাসযন্ত্রের ওপর এর মারাত্মক প্রভাব রয়েছে। এটি নিশ্চিত যে, পিএম (বস্তুকণা) বিশেষ করে পিএম১০ অথবা পিএম ২.৫ এর সংস্পর্শে আসলে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। দীর্ঘসময় পিএম২.৫ এর সংস্পর্শে থাকলে ধমনীতে প্লাক জমা, ভাস্কুলার প্রদাহ, ধমনী শক্ত হয়ে যেতে পারে। যার ফলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাট্যাক হতে পারে। পিএম১০ এবং পিএম২.৫ শ্বাসজনিত রোগ এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের ফলে অকাল মৃত্যুর জন্যও দায়ী।

  • শ্বাসযন্ত্রের নানা রোগ

দীর্ঘসময় ধুলাবালির মাঝে থাকার ফলে মানুষের অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস, সিওপিডির মতো রোগ হয়, ফুসফুসের অ্যালভিওলাই ধ্বংস করে। নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড ব্রংকিওলস এবং অ্যালভিওলাইয়ের ক্ষতি করে। নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইডকে শ্বাসযন্ত্রের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য দায়ী করা হয়। নবজাতক এবং শিশুরাই এর সবচেয়ে বড় শিকার।

  • হৃদরোগ

রক্তে অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইডের উপস্থিতির ফলে ধমনীর মধ্য দিয়ে রক্তসঞ্চালন হৃৎপিণ্ডের জন্য কঠিন হয়ে যায়। 

  • চুল পড়া এবং চর্মরোগ

তেল-ঝুল, ধুলাবালি এবং গ্যাস মাথার ত্বকে জ্বালাপোড়া, শুষ্কতা, এমনকি অকালে টাকও তৈরি করতে পারে। ছিদ্রগুলো ধুলিকণায় ডেকে যাওয়ায় ত্বকে রক্ত এবং অক্সিজেন সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়।

  • স্নায়ুতন্ত্র

অদগ্ধ হাইড্রোকার্বন নাইট্রোজেনের অক্সাইডের সাথে মিলে ওজোন তৈরি করতে পারে যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।

অন্তর্ভুক্ত লেডের প্রায় ৭৫ শতাংশ হাড় এবং টিস্যুর মধ্যে জমা থেকে যায়, যা মস্তিষ্ক এবং কিডনির ক্ষতির কারণ। অল্পবয়সী শিশুদের ক্রমবর্ধমান স্নায়ুতন্ত্রই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মানবাধিকার এবং পরিবেশ বিষয়ক বিশেষ দূত ডেভিড বয়েড বায়ু দূষণকে “নীরব, কখনো অদৃশ্যমান ঘাতকঃ” বলে অভিহিত করেছেন। নারী এবং শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর এই বায়ু দূষণের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।

এই সমস্যাটি রুখতে সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ এবং নীতি নির্ধারণ করেছে-

  • বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ‘জাতীয় পরিবেশ নীতি’ প্রণয়ন

এই নীতিটি পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ১৯৯২ সালে প্রবর্তন করা হয়েছিল। তখন থেকে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য ২৫টিরও বেশি আইন, নীতি, নির্দেশিকা এবং বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে।

  • কেস প্রজেক্ট (নির্মল বাতাস এবং টেকসি পরিবেশ)

বায়ু দূষণ কমানোর লক্ষ্যে প্রতি মাসে বায়ুর মান পরীক্ষা এবং ফলাফল প্রকাশের উদ্যোগ।

  • ইট উৎপাদন এবং ইটভাটা তৈরি (নিয়ন্ত্রণ) আইন

ইট উৎপাদন এবং ইট ভাটা তৈরির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের জন্য সরকার ২০১৩ সালে একটি উদ্যোগ নেয়। সেটিতে ইটভাটা গুলোতে নতুন প্রযুক্তি সংযোজন এবং সেগুলো নতুন জায়গায় সরানোর জন্য ২ বছর সময় দেয়া হয়।

ঢাকার পাশের চারটি নদীকে পরিবেশগতভাবে সংকটাপূর্ণ ঘোষণা (ইসিএ)

২০০৯ সালে ডিওই চারটি নদীকে (তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গা) ইসিএ হিসেবে ঘোষণা দেয়। এরফলে এই নদীগুলোর পাশে ইট ভাটা তৈরি নিষিদ্ধ হয়।
যদিও বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে লড়তে সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু তারপরও বর্তমান পরিবেশ বিষয়ক নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। শিল্প কারখানাগুলো, পরিবহন প্রতিষ্ঠানকে কঠোর নীতির মধ্যে নিয়ে আসতে হবে এবং দূষক পদার্থের নিঃসরণ মনিটরিং করতে হবে। আবর্জনা সংগ্রহ এবং ধ্বংসের যথাযথ সমাধান ছাড়া আমাদের সড়কগুলো দূষিতই থাকবে। এছাড়া শিল্পায়নের জন্য আমরা যত গাছ কাটবো, আমাদের পরিবেশে বায়ু দূষণের হুমকিও তত বাড়বে।
দূষণজনিত সমস্যা বর্তমানে এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে এটি ঢাকাকে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত নগরীতে পরিণত করে ফেলেছে। এখনই উপযুক্ত সময়; সরকার মানুষের জীবনের ওপর দূষণের হুমকি বুঝতে পেরেছে এবং বর্তমানে সবুজায়নের দিকে ঝুঁকেছে।

 

বায়ু দূষণ

Dhaka, the megacity of rapid industrialization and urbanization is the capital city of Bangladesh. It is the hub of all activities. Almost 9 million people reside in Dhaka, marking it as one of the densely populated cities in the world. Although with the advancement of modernization and the rise of new opportunities, there has been a rise in innumerable new problems, air pollution is one of them.

Bangladesh, one of the most densely-populated countries in the world, has been struggling with air pollution for a while, and Dhaka continuously ranks among the world’s most polluted cities. Weighed down by the overbearing increase in population along with unplanned urbanization, extensive industrialization and increasing number of automobiles, the dangerous rise in air pollution has marked Dhaka city as the second least livable city in the world while Damascus is the worst, according to the annual global survey of Economist Intelligence Unit (EIU).

US environmental experts developed the Air Quality Index (AQI) which is divided into six categories, indicating increasing levels of health concern. An AQI value over 300 represents hazardous air quality, and below 50 the air quality is good. The index is based on the five criteria of pollutants regulated under the Clean Air Act: ground-level ozone, particulate matter, carbon monoxide, sulfur dioxide and nitrogen dioxide.

The quality of air in Dhaka, calculated on 17Th February, 2014 was measured to be 172 AQI which is considered unhealthy and on January 25th, 2017 the number stood to 361 AQI, which is considered to be extremely unhealthy according to the standards for Bangladesh (NAAQS). A filter of heavy smog can be noticed upon getting out of the house, as the road gets contaminated by dust particles and poisonous pollutants from the fumes immitted by faulty vehicles and brick kilns from the adjacent construction sites. The worst affected areas in Dhaka city are: Mirpur, Manik Mia Avenue, Tejgaon, Farmgate, Motijheel, Lalmatia, and Mohakhali.

As part of an old tradition of this city, digging and construction works related to roads and underground utility lines are taken up during this lean time. With little rain and dryness of the air, loose dust comes off from construction and repair sites in a relatively strong wind. As part of another practice in this city, the digging and construction works are most of the time left unfinished. Prompt filling of the trenches dug for laying out utility service pipes is rarely seen. Works left sloppily finished are seen in every part of the capital. They constitute a sight that continues for months in a row. That this style of digging and construction works is chiefly responsible for the persisting presence of air-borne dust in Dhaka is not unknown to the authorities concerned. But it’s on few occasions that they are seen swinging into action.

A 2019 study published in the journal Science of The Total Environment assessed the risk of heavy metal-contaminated street dust in Dhaka to human health. All the metals identified had toxicological effects and some such as arsenic, chromium and cadmium are carcinogenic. It found dust in Dhaka contained 200 times the cadmium considered acceptable in soil. The presence of zinc, arsenic and nickel was also higher than expected.

Professor Salam was involved in two further studies recently, one of which assessed the risk of air pollution to schoolchildren. “We studied 10 schools and 250 young students where we tested air pollution, PM 2.5 and PM1, in their classrooms and the fields where they played. We also tested their lung efficiency. We found 55-60 percent of the school children had lung function efficiency below the standard value. The impact on lung function was most where pollution was higher,” states Professor Salam. The children studied showed symptoms such as coughs, shortness of breath and asthma, and migraines and headaches.

58% of the particulate pollutants responsible for the smog in the air of Dhaka city comes from the orthodox brick kilns around and inside Dhaka, 18% from road dust and soil dust, 10% from vehicles, 8% from burning of biomass and 6% from other sources. But the two major causes of air pollution are

  1. Mechanized Vehicles: More than 80 percent of the air pollution is Dhaka can be attributed to the diesel-run vehicles as most of them don’t comply with the approved emission standard Diesel emits suspended particulate matter (SPM) which contains shoot. Shoot is responsible for reduction of atmospheric visibility and absorb and carry organic compound to lungs. Among these vehicles, diesel-run busses and trucks account for most of the emission of local pollutants and other greenhouse gases.
  2. Industrialization: Due to the unavoidable expansion of economic activities in Bangladesh, there has been an extensive rise in factories due to which the number of toxic fumes is also increasing in 21 the atmosphere. It is largely caused by burning fossil fuels for electricity, transportation and heating.
  3.  

But Md Ziaul Haque, director (air quality management) of the Department of Environment (DoE), said there was confusion in the report which placed Bangladesh at the top in the country category. “The average air quality of Dhaka and the entire Bangladesh are different. The air in rural areas and other districts is much healthier than in Dhaka,” he said.

There are two kinds of pollutants responsible for the pollution of outdoor air: gaseous and particulate pollutants. The presence of gaseous pollutants, like Carbon Monoxide (CO), Sulphur Dioxide (SO2), Nitrogen Oxide (NOx), Ozone (O3) and Methane (CH4) has been found by the DoE in the air of Dhaka city in alarming quantity. It has deadly effects on the human healthy, especially the respiratory system. The association between exposure to PM (Particular Matter), especially fine PM10 or PM2.5 (aerodynamic diameter less than 2.5 mm), and adverse health effects has been well established. long-term exposure to PM2.5 may lead to plaque deposits in arteries, causing vascular inflammation and a hardening of the arteries which can eventually lead to heart attack and stroke. PM10 and PM2.5 are also linked to premature death from cardiovascular and respiratory diseases and lung cancer.

  • Many Respiratory Diseases: People develop diseases like Asthma, COPD, Bronchitis, Bronchiectasis due to long time exposure to dust. Causes dilatation of air spaces in lungs. NO2 causes damages to bronchioles and alveolar ducts. NO2 is also suspected to impair the defense mechanism of respiratory system. Infants and children are more susceptible.
  • Cardiovascular Diseases: High concentration of Carbon Oxide in Blood, makes it difficult for the heart to pump blood through the arteries.
  • Hair Fall and Skin Diseases: Soot, dirt, dust and gases can cause scalp irritation, dryness, breakage and even premature baldness. It restricts blood flow and oxygen to the skin as the pores get clogged with dust particles.
  • Nervous System: Unburnt hydrocarbon may form ozone with oxides of nitrogen which is a central nervous system depressant.

Around 75% of the ingested lead is deposited in bones and tissues causing irreversible brain and kidney damage. Growing nervous system of young children are particularly vulnerable. David Boyd, special rapporteur on human rights and the environment, has termed air pollution as a “silent, sometimes invisible, prolific killer” which has a more dangerous effect on the health of the women and the children.

In order to combat this problem, the government has taken some initiatives and came up with policies-

  • Bangladesh had its first-ever legal framework “National Environment Policy” This policy was introduced for governing the environmental conservation in 1992. Since then, more than 25 laws, policies, guidelines, and regulations have been formulated to regulate the environmental footprint.
  • CASE (Clean Air and Sustainable Environment) project: An initiative to abate the risks of air pollution by monitoring and publishing the quality of air on a monthly basis.
  • Brick Manufacturing and Brick Kilns Establishment (Control) Act: To establish control over the manufacturing of bricks and brick kilns, an initiative was taken by the government in 2013 that permitted two years’ time limit to convert the brick kilns into modern technology and to relocate them. Moreover, cement blocks will be used in place of brick kilns.
  • Declaration of the four rivers around Dhaka as Ecologically critical area (ECA): In 2009 the DoE declared the four rivers (Turag, Balu, Shitalakkhya, Buriganga) around Dhaka as ECA. This act prohibits the use of brick kilns around these areas.

Even though the government has taken some initiatives in combating the air pollution problem, there needs to profound changes in the existing environmental policies together with a new legal framework. Enforcement of strict rules on industries, automobile companies and proper monitoring of the emission of pollutants. Without a proper solution for waste collection and its disposal, our roads will remain polluted and the more trees we cut for our factories, the more we expose our environment to the threat of air pollution.

The current condition of the pollution problem has become so alarming that is has led Dhaka to rank 2nd in the scenario of World’s most polluted cities, second to Delhi. It is high time; the government understood the threat that it posits on human lives and shift towards a greener approach.