নিরাপদ পানি: সুপেয় এবং গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার্য পানি
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ এবং মেগাসিটি ঢাকা এর রাজধানী। মানুষ বাড়ার সাথে সাথে এই নগরী ব্যাপক আধুনিকায়নের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে পুরো দেশজুড়ে এমন ব্যাপক শিল্পায়ন এবং নগরায়ন হওয়ার পরও এই শহর পরিষ্কার সুপেয় পানির অভাবে ভোগে।
পূর্ববর্তী বছরগুলোর তুলনায়, পরিষ্কার সুপেয় পানির ক্ষেত্রে বর্তমানে আমরা বেশ উন্নতি করেছি। কিন্তু ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা, বস্তি এবং অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে অনেক জায়গাতেই যথাযথ পানি সরবরাহ নেই। এর সাথে সাথে অপরিকল্পিত স্যানিটেশন এবং দুর্বল স্বাস্থ্যবিধির কারণে ঢাকায় মানুষের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে।
স্থানীয় সরকারের গত বছরের তথ্যানুযায়ী, রাজধানীতে ২.৩৫ বিলিয়ন লিটার নিরাপদ পানির চাহিদা রয়েছে। ঢাকা ওয়াসার ২.৪৫ বিলিয়ন লিটার পানি সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে। ওয়াসার গভীর নলকূপগুলোর সাহায্যে কমপক্ষে ১.৭ বিলিয়ন লিটার পানি তোলা হয়। বাকি ৬ মিলিয়ন লিটার পানি বুড়িগঙ্গা এবং শীতলক্ষ্যা থেকে ৫টি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়।
একমাত্র পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড সুয়ারেজ অথোরিটি( ওয়াসা) এর মাধ্যমে ঢাকায় প্রতিদিন ২২.৫ ঘন্টা পানি সরবরাহ করা হয়। ওয়াসা একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। এটি প্রতিদিন ২১১০ মিলিয়ন লিটার পানি সরব্রাহ করে ৩৬০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার ১২.৫ মিলিয়ন মানুষের চাহিদা পূরণ করে। বর্তমানে ঢাকার উত্তরে মিরপুর এবং উত্তরা এবং দক্ষিণে নারায়নগঞ্জ পর্যন্ত ওয়াসার কাজ বিস্তৃত হয়েছে। বর্তমানে সরবরাহকৃত পানির ৮৭ শতাংশ ওয়াসার ৯০০টি গভীর নলকূপ থেকে আসে। বাকি ১৩ শতাংশ ভূপৃষ্ঠের অন্যান্য জলজ উৎস থেকে আসে। সুপেয় পানির অন্যান্য উৎস গুলো হলো-
- গৃহস্থালি কাজে পাইপ দিয়ে সরবরাহকৃত পানির টেকসই উন্নয়ন প্রয়োজন।
- .২৩ শতাংশ পাইপ গৃহের ভেতরে
- .৮ শতাংশ পাইপ ঘরের বাইরে
2.হাত পাম্পের নলকূপগুলি স্থানীয় সরকার এবং পরিবার দ্বারা দখলকৃত। কিন্তু এসব ভালো পানির মাঝেও আর্সেনিক এবং ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গিয়েছে।
ঢাকা শহর বর্তমানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়া জনিত সমস্যা মোকাবিলা করছে। পানির স্তর গত কয়েক বছরে ২ থেকে ৩ মিটার নীচে নেমে গিয়েছে। এগুলো বাড়াতে প্রচুর বৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন। এরফলে ভূপৃষ্ঠের উপরিতলের উৎস থেকে পানি সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। কিন্তু সেগুলোও বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ দ্বারা দূষিত। প্রায় ৬০ হাজার কিলোমিটার সাপ্লাই লাইনের মাধ্যমে এই পানিগুলো শহরের বাসিন্দাদের ঘরে পৌঁছায়, যেখানে প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার পাইপ ১৫০ বছরেরও বেশি পুরনো। এখন পর্যন্ত সরকার ২৪ হাজার কিলোমিটার পাইপলাইন প্রতিস্থাপন করেছে। এরপরও ওয়াসার এমডির দাবি অনুযায়ী, প্রায় ৪০ শতাংশ পানি পুরনো পাইপলাইনের কারণে দূষিত হচ্ছে।
যখন পানিতে আর্সেনিক এবং প্যাথোজেন যেমন সালমোনেলা এসপিপি, শিজেলা এসপিপি, ভিব্রিও কলেরা, ই.কোলি ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি থাকে তখন তাকে দূষিত বলা হয়। যদিও বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ পরিষ্কার পানির আওতাভুক্ত, কিন্তু ৮০ শতাংশ পানিতেই ই.কোলি ভাইরাস রয়েছে। বর্তমানের অপরিষ্কার এবং দূষিত পানির সরবরাহের পেছনে আরো কতগুলো কারণ রয়েছে।
- ভূগর্ভস্থ পানির নিষ্কাশন
মনুষ্য নির্মিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত পানি’ সরবরাহ পানির একটি বড় উৎস। এই প্রক্রিয়ায় আর্সেনিকবাহিত ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হয়। ড্রেন থেকে চুইয়ে মানুষ এবং প্রাণীর মল থেকে প্যাথোজেন গিয়ে ভূগর্ভস্থ পানির সাথে মেশে।
- প্রাকৃতিক আনি দূষণ
প্রাকৃতিক জলস্রোতগুলোর দূষণের কারণে আমাদের ভূগর্ভস্থ পানির দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। বিভিন্ন শিল্পকারখানা থেকে নদীগুলোতে বর্জ্য ফেলার ফলে সেখানকার পানি দূষিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অধিকাংশ নদীগুলো তাদের জীবনীশক্তি হারিয়ে ফেলেছে।
- যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব
শহরের অধিকাংশ মানুষই গণস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে ভালোভাবেই সচেতন। কিন্তু ঢাকার বস্তিগুলোতে স্যানিটেশন এবং বর্জ্য ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। খোলা জায়গা এবং নদীর ধারে মলত্যাগ, বর্জ্য নিষ্কাশনের অপরিকল্পিত রুটের কারণে পানি দূষিত হচ্ছে।
এসকল সীমাবদ্ধতার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাঁধে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু জুরাইন, দনিয়া, বাড্ডা, মুরাদপুর, শ্যামপুর, মালিবাগ, মাদারটেক, বনশ্রী, মিরপুর, পল্লবী, কাজীপাড়া, সদরঘাট এসব এলাকায় বসবাসকারী জনগণের অসন্তোষ নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর ওপর আলো ফেলেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবির তথ্যানুযায়ী,
- ঢাকা ওয়াসার সেবা গ্রহণকারী ৫১.৫ শতাংশ নাগরিকই জানিয়েছে তারা এসব পানিতে ময়লা পেয়েছে
- ৪১.৪ শতাংশ তাদের পানিতে দুর্গন্ধের অভিযোগ করেন
- ৩৪.৫ শতাংশ ব্যবহারকারী মনে করে ওয়াসা সারা বছরই নিম্ন মানের পানি সরবরাহ করে
- ঢাকা ওয়াসার পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করতে মানুষ প্রতিবছর ৩৩২.৩৭ কোটি টাকা মূল্যের গ্যাস ব্যভার করে
- ২৪.৬ শতাংশ ব্যবহারকারী পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে
- ৬২ শতাংশ ব্যবহারকারী দুর্নীতি এবং পানির অনিয়মিত সরবরাহের শিকার হন
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা পরিষদ (বিএআরসি) এর গবেষণা অনুযায়ী, অফিস এবং রেস্টুরেন্টে ব্যবহার করা জারের পানির ৯৭ শতাংশেই কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, যা সাধারণত মানুষ এবং প্রাণির বিষ্ঠাতেই পাওয়া যায়। যেসব জায়গায় ওয়াসার পানি সরাসরি জারে ভর্তি করে বিক্রি করা হয় সেসব জায়গাতেই এমন ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। মানুষ পানি ফুটিয়ে পান করে। যদিও সবসময় এই পদ্ধতি কাজে দেয় না এবং একারণে মানুষ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়। অনেক বাসিন্দা পানি বিশোধক (পিউরিফায়ার) ব্যবহার করে। অনেকে বিশোধকে পানি ঢালার আগে নিজের মনের সন্তুষ্টির জন্য তা ফুটিয়েও নেয়। তারা পানি বিশোধকের কার্যকারিতা নিয়েও সন্দিহান।
এই দূষিত পানি পান করা অন্ত্রের রোগের একটি কারণ, যার ফলে শিশুরা অপুষ্টিতে ভোগে এবং তাদের বেড়ে ওঠার সক্ষমতা কমে যায়। যদিও অনিরাপদ পানি পানের ফলে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি রোগের ঝুঁকিতে ভোগে, কিন্তু বয়স্কদের স্বাস্থ্যের ওপরো এর নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। ট্যাপের পানি পান, বাহিরের খাবার এবং চায়ের স্টলগুলো থেকে অপরিশোধিত পানি দিয়ে তৈরি চা পানের ফলের নিম্নে উল্লেখিত রোগগুলো হয়।
- ডায়রিয়া, আমাশয়ের মতো পানিবাহিত রোগ
- অন্ত্রের সংক্রমণ
- টাইফয়েড, কলেরা, পোলিও
আইসিডিডিআরবির অধীনস্ত হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক ডা. আজহারুল ইসলাম দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিককে জানিয়েছেন, চলতি বছরের এপ্রিলে প্রায় ৮০০-৯০০ এবং মে তে প্রায় ৬৫০-৭৫০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সেখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। মানুষের জন্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা না থাকলে ডায়রিয়া প্রতিরোধ করা খুবই কঠিন। ডা. আজহারুল নিরাপদ পানি সরবরাহে ব্যর্থতার জন্য ওয়াসাকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “আমি জানি না ওয়াসা তাদের প্রান্ত থেকে নিরাপদ পানি সরবরাহ করে কিনা, তবে যখন সেগুলো ভোক্তাদের কাছে পৌঁছায় পরিষ্কারভাবেই সেগুলো দূষিত অবস্থায় থাকে।” পানি পানের পূর্বে সেটিকে ফিল্টার, ফুটানো বা অন্য বিশোধক দিয়ে পরিশকার করে নেয়া মানুষের জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয়। কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত সম্মিলিত সচতনতামূলক উদ্যোগ যেমন:
- পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশন সম্পর্কিত জাতীয় কৌশল
- বাংলাদেশ সরকার একটি নতুন কৌশল হাতে নিয়েছে যা ওয়াশ (ডব্লিউএএসএইচ) এর মাধ্যমে জাতীয়, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় পর্যায়ে নিরাপদ পানির সরবরাহকে উৎসাহিত করবে।
- ২০১৯ সালে বিএসটিআই ৩৯টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ঢাকায় অবৈত বোতলজাত পানির খোঁজে নামে এবং ৩২টি অননুমোদিত বোতলজাত সেবার সন্ধান পায়। প্রতিষ্ঠানটি ৭০ জনকে জেল এবং ৫৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
- ওয়াসা নিরাপদ পানি আন্দোলন নামের একটি প্ল্যাটফর্ম নিরাপদ পানি সরবরাহে ওয়াসার চরম ব্যর্থতার কারণে তাদের কাছে ৫ দফা দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: সবজায়গায় নিরাপদ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা, নোংরা পানি পানের ফলে যারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা, দূষিত পানির জন্য দেয়া বিল ফেরত দেয়া, ঢাকা ওয়াসার ব্যরথতার কারণ তদন্ত করা এবং দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে ঢাকা ওয়াসার এমডির পদত্যাগ।
একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পানি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। একারণে কোনো শহর যদি নিরাপদ পানি সরবরাহে ব্যর্থ হয় তাহলে এর জনগণের বেঁচে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। ওয়াসার বেহাল দশা এবং পরিষ্কার সুপেয় পানির অভাব আমাদের নদীগুলোকে পরিষ্কার করে বাঁচিয়ে তোলার দিকে মনোযোগী হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। যেন আমাদের আর নিরাপদ পানির জন্য মনুষ্য নির্মিত পদ্ধতির ওপর নির্ভর করতে না হয় পাশাপাশি, জনসচেতনতা বাড়িয়ে আমরা জনগণকে পানি পরিশোধিত না করে পান করা থেকে বিরত রাখতে পারি।
সরকার যদি পুরনো এবং নোংরা পাইপলাইন সরিয়ে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করার উদ্যোগ না নেয় তাহলে জনসংখ্যার অর্ধেকই দূষিত পানি পানজনিত ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। সাথে সাথে, মিনারেল ওয়াটার বিক্রিকারী প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান এবং এজেন্সিকে নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে যেন তারা পানির উপাদান বিশুদ্ধ রাখে। তা না হলে, অতি শীঘ্রই নিরাপদ পানি আমাদের কাছে এক বিলাসিতার নাম হবে।
কৌতূহলোদ্দীপক প্রাসঙ্গিক ঘটনা
প্রতিদিন প্রায় ৬ ঘন্টা ক্রিকেট প্র্যাকটিস করা ১৯ বছর বয়সী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় নিরাপদ পানির অভাব নিয়ে কথা বলেছেন। “আমি জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। একারণে দিনের অধিকাংশ সময় আমি মাঠেই কাটাই। প্রতিদিন আমাকে ৫ লিটার পানি বহন করে নিয়ে আসতে হয়, কেননা প্র্যাকটিসের ফলে আমার শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরে যায়। যদি আমার মাঠে বা এর আশেপাশের দোকানে নিরাপদ পানির সরবরাহ থাকত, তাহলে প্রতিদিন আমাকে এত ভারী একটি জার বহন করতে হতো না। তিনি আরো বলেন, “ আমি আশেপাশের দোকান থেকে পানি নিয়ে খেতাম। কিন্তু দুই মাসের মধ্যে আমি জন্ডিসে আক্রান্ত হই এবং প্র্যাকটিসে পিছিয়ে পড়ি।”
নিরাপদ পানি: সুপেয় এবং গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার্য পানি
Bangladesh is a riverine country and the megacity Dhaka is the capital. With the growing population, the city has gone through massive levels of modernization. But country going through such rapid industrialization and urbanization, with an access to natural resources fails to live up to it’s promises when the city faces an impediment in the overall supply of clean drinking water.
Compared to the preceding years, we have made a decent progress in establishing clean drinking water. However, in many areas like densely populated residential areas, slums and unplanned urban settings, a proper water supply is unavailable which together with unplanned sanitation and poor hygiene poses a major threat to public health in Dhaka. The capital has demand for 2.35 billion litres of safe water, according to the information provided by the local government minister last year. Dhaka WASA has a capacity to pump up 2.45 billion litres of water. At least 1.7 billion litres of water are pumped up through deep tube-wells of WASA while another 6 million litres of water is supplied from Buriganga and Shitalakkhya rivers through treating them in five water treatment plants.
Dhaka supplies water 22.5 hours per day and most of the water is supplied by the sole water supplier Dhaka Water Supply and Sewerage Authority (WASA), an autonomous commercial organization in the public sector. It covers more than 360 sq. km service area with 12.5 million people with a production of almost 2110 million liters per day (MLD). At present the service area of Dhaka WASA extended to Mirpur and Uttara in the North and to Narayanganj in the South. At present 87% of the supplied water is from ground water abstraction from Dhaka WASA’s 900 deep tube wells. The remaining 13% water comes from surface water treatments.
Other sources of drinking water supply are:
1. Piped water supply in household premises which requires sustainable improvement in service levels. They comprise of
- -23% piped inside dwelling
- -8% piped outside dwelling
2. Tube wells with hand pumps, sunk by water utilities, local government and private household. But the quality of well water at times are found to be contaminated with arsenic and bacteria.
The current challenged faced by the city is the decrease in the ground water which has decreased 2 to 3 meters in the last few years, which requires effective rain water harvesting to be recharged. That leaves water supply from surface water bodies which are unfortunately filled with high level of contaminations. The water brought to the city dwellers’ homes through a network of 60,000km supply lines where 36,000km of which are derelict 150 year old pipes. So far the govt. has replaced 24,000km of the pipeline networks and the 40% of the 24 water gets contaminated through the pipeline delivery network and in private reservoirs claimed by WASA MD.
When the water contains arsenic and pathogens such as Salmonella spp, Shigella spp, Vibrio cholerae and E. coli bacteria, it can be termed as contaminated water. Even though, 95% of the population of Bangladesh has access to clean water, 80 % of the water contains E. coli. There are more causes working behind the existence of the unclean and contaminated water supply.
- Extraction of groundwater
- One of the major sources of water comes from a man-made process which provides us with “Technologically-improved water”. The process involves extraction of groundwater which at times contain high levels of arsenic. Pathogens being shed in human and animal feces find their way to groundwater through seepage from sewages.
- Contamination of Natural Water Resources The reason we have resorted to groundwater is due to the contamination of all out natural water resources. The chemical waste from the mills and factories that are dumped on water, contaminates it as a result of which most of our rivers are dead.
- Lack of proper waste management Even though most of the urban population are well-aware of public health and sanitization. Slums in Dhaka have poor sanitation facilities and waste management. Defecation on open areas and around water bodies, unplanned routes of disposing waste contaminates the water bodies completely.
With all these limitations, a great responsibility befalls upon to the concerning authority. But a major dissatisfaction from the people residing in certain areas like Jurain, Dania, Goran, Badda, Muradpur, Shyampur, Malibag, Madartek, Banashree, Mirpur, Pallabi, Kazipara, Sadarghat have brought the following facts into light- According to TIB (Transparency International Bangladesh),
– 51.5% of all Dhaka WASA consumers in the capital reported the water they receive to be filthy.
– 41.4% complained that their water smelled bad
– 34.5% of WASA users think that they supply poor quality water all year round – People have to burn 332.37tk crore worth of gas every year to boil Dhaka WASA water in order to make it consumable.
– 24.6% consumers affected by water borne diseases – 62% DWASA users face corruption, irregularities
In a research, Bangladesh Agricultural Research Council (BARC) found that almost 97 percent of the drinking water in jars used mostly in offices and restaurants contain ‘coliform bacteria’, 25 a germ commonly found in human and animal feces. Cases have been reported where WASA water has been directly filled in jars and sold. In many cases, people boil water before drinking although it does not help always and cause waterborne diseases. Many of the residents have opted to use water purifiers. Some of them boil water before putting in purifiers for their satisfaction. However, they are not confident about the effectiveness of the water purifiers.
Drinking contaminated water is the cause behind most of the intestinal diseases which at times even lead to malnutrition in children, stunting them and limiting their ability to grow. Even though children are more susceptible to diseases caused by drinking unsafe water, it has many health effects on adults as well. Drinking tap water, street food, tea from tea-stalls which at times use impurified and unfiltered water causes the following diseases.
- Waterborne diseases like Diarrhea, Dysentery
- Intestinal Infections
- Typhoid, Cholera, Polio
Dr Azharul Islam, the chief physician of hospitals at icddr,b , told a leading newspaper that there were about 800-900 patients every day this April, and 650-750 in May this year which a common cause of Diarrhea . Preventing Diarrhea is very difficult if people do not have access to safe water. He blamed WASA for not being able to provide fresh and drinkable water. “I do not know if the WASA provides clean water from their end, but the water clearly gets contaminated, or polluted, by the time consumers receive it,” Dr Azhar said, it is important for people to filter, boil or use other water purification processes before drinking it. A collective conscious initiative being taken by authorities and concerns such as;
- The National Strategy for Water Supply and Sanitation The Bangladesh Government has introduced this tragedy that will promote supply of safe water in national, regional and local levels through WASH (Water, Sanitation and Hygiene) interventions, emerging challenges and Sector Governance.
- In 2019, Bangladesh Standards and Testing Institution has set up 39 mobile courts across Dhaka to check illegal water bottling and it has found 32 unauthorized water bolting facilities during the raids. BSTI jailed 70 persons and fined them Tk 54,70,000.
- The platform, named WASA Nirapod Pani Andolon has made a 5- point demand to Dhak WASA following their ongoing fiasco regarding the supply of unclean water. The demands include: supplying clean water everywhere; compensating people who have fallen sick after consuming the dirty water; reimbursing bills paid for the polluted water; investigating the reason for Dhaka WASA’s inefficiency; and resignation of the Dhaka WASA MD if he fails to fulfill his responsibilities.
Water is the most important element required for one to survive. Therefore, if a city fails to address the problems related to safe drinking water, it will become difficult for the growing population to function. The sorry state of WASA and the imminent dearth of clean drinking water indicates the need to clean our river so that we don’t have to depend on mad made ways to access clear drinking water. Moreover, with general public awareness, we can direct the population to avoid drinking water without purifying it.
If the government doesn’t take initiative to improve the water distribution system by changing the old and rusty pipelines, half of the population will remain exposed to contaminated water. Moreover, most of the companies and agencies that sell mineral water require thorough monitoring of its pure water content. Otherwise, very soon safe and clean water will become a luxury for us.
An interesting take on the topic:
Joyonto Chattyapaddhay, a 19-year-old boy who spends a daily 6 hours in the field practicing cricket, talks about the crisis of safe drinking water. “I am trying to qualify for the national team and hence I spend half the day in the field. Every day, I have to carry 5 liters of water as I get really strained in the field while practicing. The tragedy is if I had access to safe water in the fields or in the shops around the field, wouldn’t have to carry such a heavy jar around.” He also added, “I used to drink water from the local shops here but within two months, I came down with Jaundice which had me lag behind my practice.”