Public Toilet

পাবলিক টয়লেট

বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল শহরগুলোর একটি। দ্রুত শহরায়ন এবং শিল্পায়নের উন্নয়নে একবিংশ শতকে এসে ঢাকা একটি মেগাসিটিতে রূপ নিয়েছে। এটি পরিণত হয়েছে সকল প্রকার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের কেন্দ্র। নতুন সম্ভাবনা আর সুযোগের স্বপ্নে বিভোর হয়ে প্রতিদিন ঢাকায় পাড়ি জমাচ্ছে অসংখ্য মানুষ।
ঢাকাকে কেন্দ্র করে এতো উন্নয়নযজ্ঞ চলার পরও ঢাকা শহর নানাবিধ সামাজিক সমস্যা থেকে মুক্ত নয়। সাম্প্রতিক সময়ে এ শহরের সবচেয়ে অবহেলিত সমস্যাগুলোর একটি হয়ে উঠেছে যত্রতত্র মূত্রত্যাগ এবং পাবলিক টয়লেটের অভাব। এটি একটি প্রাথমিক চাহিদা হলেও একে একপ্রকার ট্যাবু মনে করা হয়। ফলে, মানুষ পাবলিক টয়লেটের অভাব কিংবা বিদ্যমানগুলোর শোচনীয় অবস্থা নিয়েও কথা বলছে না।
স্যাঁতস্যাঁতে দেয়াল, আবর্জনাপূর্ণ ময়লা মেঝে, বমির উদ্রেক করা দূর্গন্ধ- এই হলো বিদ্যমান পাবলিক টয়লেটগুলোর সার্বিক চিত্র। স্বাভাবিকভাবেই এরকম শোচনীয় পাবলিক টয়লেটগুলো সাধারণ মানুষের প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবার প্রয়োজন মেটাতে পারে না। মানুষের হাতে তাই দুটি বিকল্প থাকে। হয় বাড়ি পৌঁছানো পর্যন্ত কষ্ট করে চেপে রাখা, অথবা ফুটপাতে কাজ সারা। দ্বিতীয় বিকল্পটিই ঢাকাবাসী অধিক অবলম্বন করে থাকে। কিন্তু, নারী ও শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ মানুষদের জন্য প্রথম বিকল্পটি গ্রহণ ছাড়া উপায় থাকে না। ফলে, দীর্ঘক্ষণ মূত্র চেপে রাখায় তাদের নানাবিধ মূত্রথলি সংশ্লিষ্ট রোগে আক্রান্ত হবার আশংকা বাড়ে।
জনস্বাস্থ এবং মানসম্মত জীবন ধারণের জন্য পাবলিক টয়লেট একটি মৌলিক প্রয়োজনীয়তা। অথচ, ৯০ লক্ষ মানুষের এই ঢাকা শহরে পাবলিক টয়লেট রয়েছে মাত্র ৭৬টি, যার মাঝে ২১টির অবস্থান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ৫৫টির অবস্থান দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে।
একে তো অপ্রতুল সংখ্যা, তার উপর এদের শোচনীয় অবস্থা মিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ। অ্যাকশন বাংলাদেশ আর ইউকে এইডের সম্মিলিত জরিপের ফলাফল বলছে-

  • ৯০ শতাংশের অধিক পাবলিক টয়লেটই ব্যবহারের অযোগ্য।
  • ৯৬ শতাংশ পাবলিক টয়লেট অনিরাপদ।
  • ৫৪ শতাংশের পর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই।
  • ৯১.৫ শতাংশই নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর।

এসব পাবলিক টয়লেটগুলো ব্যবহারে খরচ হয় ৫-১৫ টাকা। পর্যবেক্ষণ থেকে দেখা গেছে যে দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের হার সবচেয়ে বেশি। এই সময়ের মাঝে ২০০-২৫০ জন পুরুষ টয়লেট ব্যবহারকারীর বিপরীতে নারী টয়লেট ব্যবহারকারী থাকে মাত্র ২০-২৫ জন। টয়লেটগুলোর শোচনীয় অবস্থা বিবেচনায় এটা অস্বাভাবিক নয়।
শহরের বিভিন্ন স্থানে আধুনিক এবং ব্যবহার-বান্ধব পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ঢাকার সামনে এখনো বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গিয়েছে। এ কারণে পাবলিক বিশ্রামাগারগুলোও সাধারণ মানুষ এখন ব্যবহার করছে না। কেননা, দীর্ঘক্ষণ সেখানে থাকতে হলে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শৌচাগার প্রয়োজন, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়িতে পৌঁছার পূর্বে পাওয়া হয়ে ওঠে না। তাই একটাই বিকল্প রাস্তা খোলা থাকে (পুরুষদের জন্য) আর সেটি হলো ফুটপাতের কোনো কোণায় মূত্রত্যাগ করা। এটি আরো ভয়াবহ কেননা এতে শহরের পরিবেশ দূষিত হয় এবং অস্বাস্থ্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থার পেছনে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে দায়ী করা চলে।

  • পর্যাপ্ত স্থানের অভাব
    ঢাকা শহরের রাস্তাগুলোয় পাবলিক টয়লেট নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত খালি জায়গা নেই। কেননা, গ্যাস স্টেশন, শপিং মল, পার্ক, বিভিন্ন বাণিজ্যিক এলাকা সহ অন্যান্য স্থানের মূল নির্মাণ পরিকল্পনাতেই পাবলিক টয়লেটের জন্য জায়গা রাখা হয় না। ফলে সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়েই খোলা ড্রেন, ময়লার ভাগাড় কিংবা ফুটওভার ব্রীজের নীচে মূত্রত্যাগ করে।
  • বাজে পরিচালনা
    বিদ্যমান টয়লেটগুলোর অবস্থা ইতোমধ্যে শোচনীয়। নোংরা ও স্যাঁতস্যাঁতে মেঝে, অপরিচ্ছন্ন দেয়াল এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লার কারণে এগুলো ব্যবহার করতে খুব বেশি মানুষ আগ্রহী নয়। তাছাড়া, অসহনীয় দুর্গন্ধ তো আছেই। উপরন্তু কোনোপ্রকার সাবান, টয়লেট টিস্যু কিংবা পরিষ্কার স্লিপারও থাকে না এসব টয়লেটে। অন্যদিকে, টয়লেটগুলোতে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দিলেও সেগুলো দ্রুতই চুরি হয়ে যায় যথাযথ দেখাশোনা এবং প্রয়োজনীয় সিকিউরিটি ক্যামেরার অভাবে। কিছু স্থানে দেখা যায় টয়লেটগুলো দিনভর তালাবদ্ধ, আবার কিছু স্থানে খোলা থাকলেও সেগুলো পুরোপুরি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে আছে।
  • নারী ও বিকলাঙ্গদের জন্য ব্যবহার অনুপযোগী
    এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৮০ ভাগ নারীই বাইরে বেরোবার সময় পানি পান করেন না, যাতে করে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করার বিড়ম্বনায় পড়তে না হয়। বাড়ি ফেরা পর্যন্ত তাদের দীর্ঘ সময় মূত্র চেপে রাখতে হয়। আর মূত্র চেপে রাখা ‘ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন’ বা ইউটিআইয়ের বড় কারণ। এছাড়াও দীর্ঘক্ষণ মূত্র চেপে থাকলে মাথাব্যাথা, কিডনির সমস্যা সহ অন্যান্য মূত্রসম্বন্ধীয় জটিলতার সৃষ্টি হয়। বিকলাঙ্গদের জন্য তো সামান্যতম সুযোগ-সুবিধাও থাকে না পাবলিক টয়লেটগুলোতে।
  • পানির সরবরাহ
    পাবলিক টয়লেটগুলোর আরেকটি বড় সমস্যা হলো পানির সরবরাহ। সরকারি পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অপ্রতুল ব্যবস্থাপনা এবং দীর্ঘদিনের পুরাতন পাইপ ব্যবহারের কারণে অনেকসময় পাবলিক টয়লেটগুলোর কল থেকে পানিও আসে না। কিছু কল থেকে আবার দুর্ঘন্ধযুক্ত ময়লা পানি বের হয় যা কিনা ব্যবহার অনুপযোগী।
  • নির্ধারিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অভাব
    পাবলিক টয়লেটগুলোর শোচনীয় অবস্থার পেছনে মূল কারণ হলো নিয়মিত পরিচর্যা ও পরিষ্করণের অভাব। নির্ধারিত কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মী না থাকায় রাস্তায়, স্টেশনে কিংবা পাম্পের টয়লেটগুলোর জীর্ণদশা হয়। কোথাওবা নির্ধারিত পরিচ্ছন্নতাকর্মী থাকার পরও পর্যবেক্ষণের অভাবে টয়লেটগুলো অপিরষ্কারই থেকে যায়। এ বিষয়টি পাবলিক হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে বেশি ঘটে থাকে।
  • অবহেলিত বস্তি
    শহরবাসীর জন্য তবুও অল্পবিস্তর সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত পাবলিক টয়লেট রয়েছে। কিন্তু, শহরের বস্তুগুলো একেবারেই উপেক্ষিত। এসব বস্তিতে পর্যাপ্ত স্যানিটেশনসহ কোনো টয়লেট ব্যবস্থাই নেই। ফলে, মানুষেরা অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ করে প্রয়োজন মেটায়, যেগুলো অস্বাস্থ্যকর। এসব টয়লেটের কারণে ময়লা আবর্জনা খাবার পানির সাথে মিশে যায় যা মারাত্মক সব রোগব্যাধি ছড়ায়।

পাবলিক টয়লেটের এ সমস্যা কেবল মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যই হুমকি নয়, এটি সামাজিক জীবনকেও প্রভাবিত করে। রিকশা, সিএনজি আর বাসের মতো পরিবহনের চালকেরা অধিকাংশ সময়ই তাড়াহুড়োয় থাকেন। তাই তারা রাস্তায় দ্রুত মূত্রত্যাগ করতেই পছন্দ করেন। আর এর ফলে ফুটপাতগুলোতে অসহ্য দুর্গন্ধ তৈরি হয়, যার দরুন পথচারীদের জন্য হেঁটে যাওয়াই মুশকিল হয়ে পড়ে। আবার, যে সব মানুষ অস্বাস্থ্যকর পাবলিক টয়লেটগুলোই ব্যবহার করে থাকেন, তাদের রয়েছে কলেরা, ডায়রিয়া, আমাশয়, হেপাটাইটিস এ আর টাইফয়েডের মতো রোগ হবার ঝুঁকি।
সরকার নগরায়নের জন্য কোটি কোটি টাকা ঢাললেও নগরের মানুষের অন্যতম একটি মৌলিক চাহিদা শৌচাগারের অভাব পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তবে, পাবলিক টয়লেট সংক্রান্ত এই অবস্থা দিনকে দিন শোচনীয় হতে থাকায় তা সরকারের নজরে এসেছে। সরকার নিম্নোক্ত কর্মপরিকল্পনা এবং কৌশলগুলো ইতোমধ্যে হাতে নিয়েছে।

  • ২০১৫ সালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। তাই সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছিল। সড়কের বিভিন্ন দেয়ালে আরবি লেখা সম্বলিত পোস্টার সেঁটে দেয়া হয় যেন মানুষ ধর্মের জন্য হলেও রাস্তায় মূত্রত্যাগ থেকে বিরত হয়।
  • সিটি কর্পোরেশন ওয়াটারএইডের সাথে অংশীদার হয়ে শহরের পাবলিক টয়লেটগুলোর সুবিধা বৃদ্ধি এবং সেগুলোকে আধুনিকভাবে সজ্জিত করার কাজ হাতে নিয়েছে।
  • ‘ভূমিজো’ নামের একটি সামাজিক উদ্যোগে গাউসিয়া মার্কেটের নূর ম্যানসনে কেবল নারীদের জন্য একটি চমৎকার পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করেছে।
  • ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ইতোমধ্যে নগরীর পাবলিক টয়লেটগুলো সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছে যাতে থাকবে বিশুদ্ধ পানি, সাবান, টিস্যু ও তোয়ালের ব্যবস্থা।
  • বর্তমানে উত্তর সিটি কর্পোরেশন মোট ২১টি পাবলিক টয়লেট আছে যেগুলোর মাঝে ডিএনসিসি ওয়াটারএইডের সাথে সম্মিলিতভাবে নির্মাণ করেছে ১৮টি টয়লেট, ওয়ার্ল্ড টয়লেট এ্যাসোসিয়েশনের সহযোগীতায় ২টি এবং নিজেরা নির্মাণ করেছে ১টি টয়লেট।
  • ওয়াটারএইডের সাথে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন তথা ডিএসসিসি সম্মিলিতভাবে নির্মাণ করেছে ৯টি পাবলিক টয়লেট। অন্যদিকে, জল-সবুজ প্রকল্প নতুন করে ৩১টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। ফলে, সবমিলিয়ে ডিএসসিসি মোট ৮৯টি পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা করতে পারবে।
  • উভয় সিটি কর্পোরেশনই আগামী ২ বছরে ১০০টি করে নতুন পাবলিক টয়লেট নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে, যার মাঝে ৫৩টির কাজ শেষ হয়ে যাবে ২০১৯ সাল নাগাদ। এছাড়াও, প্রতিটা পার্কে একটি করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।

পাবলিক টয়লেট আমাদের দেশে এক প্রকার ট্যাবু। ফলে, সাধারণ মানুষের জীবনে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হলেও তারা পাবলিক টয়লেটের কথা লজ্জার কারণে বলতে পারছে না। ফলে, সরকার এবং জনগণ, উভয় দিক থেকে যদি পাবলিক টয়লেটের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না আসে, তাহলে বহুবছরেও এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।


পর্যাপ্ত স্যানিটেশনের জন্য দরকার হাই-কমোড এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান। তাই সরকারকে বাজেট প্রণয়নের সময় এসবের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে। তাছাড়া, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের জন্য জনসচেতনতাও বৃদ্ধি করতে হবে, যেত তারা যত্রতত্র মূত্র ত্যাগ না করে।


মানসম্মত পাবলিক টয়লেটের উপস্থিতি নগরের মানুষের জীবনমানের সাথেও সংশ্লিষ্ট। মানুষকে প্রতিদিনই তীব্র ট্রাফিক জ্যামের কারণে কয়েক ঘন্টা সময় যানবাহনে কাটাতে হয়। পাবলিক টয়লেট ছাড়া এই দীর্ঘ সময় মূত্র চেপে রাখা অত্যন্ত কঠিন, বিশেষকরে নারীদের জন্য। এতে করে তৈরি হয় নানাবিধ স্বাস্থ্য ঝুঁকিও। তাই, সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য সরকারকে অবশ্যই সবধরনের পাবলিক প্লেসে যেমন- হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্যাস স্টেশন, পেট্রোল পাম্প, খাবার দোকান, মার্কেট, ইত্যাদিতে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করতে হবে।


কৌতূহলোদ্দীপক প্রাসঙ্গিক বিষয়
আহমেদ আজিজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। অন্যসকলের মতই তারও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজের টিউশন শিক্ষার্থীর বাসায় যেতে দীর্ঘক্ষণ গণপরিবহনে কাটাতে হয়। পাবলিক টয়লেট ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, “সত্যি বলতে, পাবলিক টয়লেটের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ উপেক্ষিত এবং খুব দ্রুত এর কোনো সমাধানের আশাও করছি না। খুব জরুরি প্রয়োজনে আমি নিকটবর্তী কোনো রেস্তোরাঁর বিশ্রামাগার ব্যবহার করি।” তিনি আরো বলেন, “পাবলিক টয়লেটগুলো সবগুলোই অত্যন্ত নোংরা। তবে, রেস্তোরাঁ বা ফাস্টফুডের টয়লেটগুলো অতটাও নয়।”
৩০ বছর বয়সী তাহরিমা রহমান ঢাকায় একটি এনজিওতে কাজ করেন। তিনি পাবলিক টয়লেট প্রসঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, “আমি অনেক তরুণ বয়স থেকে বিভিন্ন পাবলিক এবং প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কাজ করে আসছি। কিন্তু, কোনোটিতেই যথাযথ পাবলিক টয়লেট নেই। সেগুলো ছিল অত্যন্ত নোংরা এবং অস্বাস্থ্যকর। তাই আমি অধিকাংশ সময়ই চেপে রাখতাম। আমি এটিকে খুব বড় কোনো বিষয় মনে করতাম না। আমার এই প্রবণতার কারণে দুর্ভাগ্যক্রমে আমার এখন একপ্রকার দুর্লভ মূত্রধানী সংক্রান্ত রোগ হয়েছে, যে কারণে আমি কখনো সন্তান জন্ম দিতে পারবো না।”

পাবলিক টয়লেট

Dhaka, the capital city of Bangladesh is one of the most widely populated cities in the world. By the 21st century, Dhaka has emerged as a megacity through rapid developments in urbanization and industrialization. It became the hub of all political, economic and cultural activities. With high hopes of new opportunities, more and more people are moving to Dhaka. Although despite such massive development centering Dhaka, it is not exempt from its share of social problems. One of the most neglected social problems to plague the city in the recent years, is public urination and the lack of clean and user-friendly public toilets, even though it is a basic necessity. As the issue is considered to be a matter of taboo, people are not comfortable raising their voice against the deplorable condition of the limited number of available toilets.

Damp walls and filthy floors, garbage lying everywhere with nausea invoking stench description of a typical public toilet in Dhaka does not paint an appealing picture in the head but the alternative is to either hold it in for hours till you go home or take it to the streets- as most of the people in the city are resorted to. The former holds true for the women and disabled people who have to hold their bladders until they find a cleaner place to relieve themselves, which is in most cases their home, which makes them susceptible to different kinds of diseases.

The public toilet is a basic utility that has a major connection with public health and the quality of life. For almost 9 million people residing in a city, there are only 76 public toilets in Dhaka.

  • 21 are located in Dhaka North City Corporation
  • 55 in Dhaka South City Corporation

With such a small number of toilets available to the people, their poor condition makes it worse. According to a survey, jointly carried out by Action BD and UK Aid,

  • More than 90% of the public toilets are unusable
  • 96% of these are unsafe
  • 54% lacks proper sanitation facilities and
  • 91.5% are unhygienic and dirty

The cost of using these toilets range from 5 to 15 taka. It is observed that in the peak hours of 2 pm to 10 pm, the public use these toilets the most. It is not surprising that during these hours, the number of men visiting the toilets is around 200-250 and the number of women is 25-30. Evidently, the situation is worse for women as public toilets in Dhaka are usable only to those who are courageous enough to venture into the dungeons of filth.

Dhaka faces a huge challenge when it comes to modern and user-friendly standard public toilets in several spaces all over the city. This leaves the general public to avoid using restrooms for longer hours, holding in their bladders until they find a cleaner toilet- in most cases that is after they go home. The alternate is to relieve oneself at any corner of the streetwhich is clearly worse as it pollutes the sanitization of the city and creates a very unhygienic condition. Here are some of the reasons behind this condition-

  • Lack of space – The roads in the city does not have enough space to hold public toilets due to the exclusion of toilets in the main architectural plans for places like Gas stations, parks, shopping malls, commercial zones etc. This results in people relieving themselves in some corner of the street- open drains, garbage dumps, under the footbridge.
  • Poor Management – The condition of the already existing toilets is very poor. The floors are damp, filthy and scattered with garbage. It also gives off a gut-wrenching stench. There are no soaps, toilet tissues or clean slippers for the public either. Even if the toilets are supplied such amenities, due to lack of proper supervision and security cameras, these items often get stolen by the people. In some areas, bathrooms are under lock and key while few are completely out of order.
  • Unsuitable for women and disabled people- It has been found in a recent survey that 80% women avoid drinking water before leaving the house so that they don’t have to use public toilets. They have to hold it in for longer hours due to lack of proper facilities for women and delaying urination is a major cause of urinary tract infection (UTI). It also leads to kidney problems., headaches and other urinary diseases. For disabled people, there are no facilities whatsoever when it comes to public toilets.
  • Requires smooth water supply- Another major challenge is the lack of smooth water supply in the toilets. Due to poor management by the government water suppliers and use of age-old pipes, the taps in many public toilets don’t seem to be working. Few of the taps supply unclean water which gives of bad smell, rendering it useless.
  • Lack of designated cleaners- The sorry state of the public toilets entails the lack of regular and thorough cleaning. As there are no designated cleaners, the toilets in the streets, stations and pumps are in disgusting conditions. Even if there are cleaners assigned to clean the toilet regularly, due to lack of monitoring and their total disregard for toilets, the toilets remain unclean for days. This is widely observed in public hospitals and educational institutions.
  • Neglected Slums- Even though there is some form of facility for the general people in the city to relieve themselves, the slums are completely neglected. These areas have no proper toilets and the people are resorted to use open, makeshift latrines where the pollutants get mixed with drinking water, causing the transmission of various deadly diseases.

It not only threatens the health of the public, it highly affects the social lives. Rickshaw pullers and CNG and bus drivers are often in a hurry and they therefore find it easier to relieve themselves in the streets. It causes the road sides to give off horrible stenches, making it difficult for the pedestrians to walk about. And the people who use these unclean public toilets with deplorable unhygienic quality the most, they are susceptible to diseases like cholera, Diarrhoea, Dysentry, Hepatits A, Typhoid.

The government is investing tons of money on the expansion of urbanization but failing miserably in fulfilling one of the basic necessities of the public- toilets. But due the exacerbating condition of the public toilets and people taking to the streets, the situation has somewhat met the eyes of the government, prompting the following plans and tactics-

  • In 2015, when the situation become uncontrollable, the Ministry of Religious Affairs had to launch a campaign putting up notices in Arabic for the sake of piety to prevent public urination.
  • The city Corporation has partnered with WaterAid to upgrade several public toilets with facilities and furnishing to give a modern setting.
  • Bhumijo, a social enterprise that works to upgrade the quality of public toilets has installed a remarkable toilet for the dedicated use of women in Gawsia Market’s Noor Mansion.
  • Dhaka North City Corporation (DNCC) proposed to refurbish some public toilets that maintains five-star hotel standards, that will provide clean water, soap, tissue paper and towels.
  • There are 21 public toilets in operation right now among which WaterAid and DNCC has jointly set up 18 toilets, the world Toilet Association and DNCC jointly set up 2 and DNCC has built one on its own.
  • WaterAid and DSCC jointly installed 9 toilets in different areas. According to the Jol Sobuj Project, they are planning to build another 31 public toilets. Eventually, the DSCC will provide 89 public toilets.
  • Both the corporations plan to set up 100 public toilets in two years, among which 53 will be ready by 2019. They have also planned to install one public toilet in every park.

Public toilets are a taboo in our country and hence people don’t address their needs out of sheer shame but it is creating immense problems in the lives of the people. Therefore, if both the government and the people don’t change their perception about public toilets, we cannot change the situation in many years. For sanitary issues, there requires high commodes and cleaning kits for the better usability of the people. The government needs to take proper steps by addressing these needs when creating a budget, allocating a sperate cost for these requirements. Moreover, public awareness about sanitization is also required to stop them from relieving themselves in the streets.

The availability of clean public toilets is related to the quality of people’s lives in the city. The general public has to spend several hours in the road everyday due to severe traffic congestion. Without public toilets, it becomes tremendously difficult for the people especially the women to empty their bladders which leads to many health hazards. In order to ensure the betterment of the people’s lives, the government needs to install clean public toilets in all the public places including hospitals, educational institutions, gas stations, petrol pumps, food courts, markets, etc. It is important to keep in mind that public toilets are a necessity, not a luxury.

An interesting take on the topic:

Ahmed Aziz, a student of Dhaka University who like almost everyone has to spend a lot of time in the roads, on his way from University to his student’s house says, “To be honest, the issue regarding the lack of public toilets is completely neglected and I don’t expect good change in a long time. I just visit the restrooms in different restaurants if there is an emergency.” He further adds, “Public toilets are always filthy, compared to that a mini trip to a restaurant or café isn’t all that bad.”

Tahrima Rahman, a 30-year-old woman working for an NGO in Dhaka shares, “From a very young age, I have been working in different private and public institutions- none of which had access to proper public toilets. They were extremely filthy and unhygienic, so I resorted to holding my bladder most of the time. I never thought it to be a big deal but sadly due to this tendency of mine, I have been suffering from a rare urinal disease which has led my body to an inability to produce children.”