small business

ছোট ব্যবসা: চাঁদাবাজি এবং হকার সমস্যা

মেগাসিটি ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী যা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর একটি। নগরায়ন এবং আধুনিকায়নের ফলে এই শহর সকল রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক কাজের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে যোগানও বৃদ্ধি পেয়েছে।


শিল্পায়নের ফলে ব্যবসা বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে যা সাধারণ মানুষের জন্য নানা কাজের সুযোগ সৃষ্টি করছে। বড় ব্যবসাগুলো যখন অবস্থাসম্পন্ন মানুষদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করছে, তখন ছোট ব্যবসাগুলো কম ভাগ্যসম্পন্ন, নিম্নশ্রেণীর মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূমিহীনতা এবং কর্মসংস্থানের অভাবে যখন গ্রামের মানুষ বাধ্য হয়ে শহরে আসে তখন রাস্তায় ফেরি করে পণ্য বিক্রি করা তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় আর্থিক কর্মকাণ্ড হয়ে ওঠে।
নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাবে ফেরিওয়ালারা স্বল্পমূল্যে শহরের বাসিন্দাদের কাছে তাদের পণ্য বিক্রি করে। তারা ফুটপাতের ওপরে নিজেদের দোকান বানায়। এরফলে কোনো নির্দিষ্ট পণ্য কেনার জন্য গ্রাহককে কষ্ট করে শপিং মলে যেতে হয় না। আর শহরবাসীর কাছে এই সেবাটি যেহেতু অপরিহার্য তাই পুরো শহরজুড়েই এই ফেরিওয়ালাদের দেখতে পাওয়া যায়।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের তথ্যানুযায়ী, পুরো শহরে ৯০ হাজারের মতো হকার বা ফেরিওয়ালা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এর সংখ্যা তিন লাখেরও বেশি (ইসলাম, ২০০৭)। ছিন্নমূল হকার সমিতির ৫ বছর দীর্ঘ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পুরো দেশে ২৭ লাখ হকার রয়েছে।
এই জরিপ চালানোর সময় তাদের হকার হওয়ার পেছনে নিম্নোক্ত কারণ গুলো দায়ী বলে খুঁজে পাওয়া যায়:

ছক ১: রাস্তার বিক্রেতাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা

উৎস: মাঠ পর্যায়ের জরিপ, জুলাই ২০১২

জরিপে অংশগ্রহণকারী হকারদের মধ্যে ৪২ শতাংশ তাদের মাধ্যমিকের পড়ালেখা সমাপ্ত করেছেন। ৮ শতাংশের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভিজ্ঞতাই নেই। তবে ৫ শতাংশের আবার স্নাতক ডিগ্রিও রয়েছে। কিন্তু স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসম্পন্ন কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ছক ৫: ফেরিওয়ালাদের মাসিক আয়ের পরিসর

উৎস: মাঠ পর্যায়ের জরিপ, জুলাই ২০১২

  • ছক থেকে এটা পরিষ্কার যে অধিকাংশ ব্যবসায়ীর(৩১ শতাংশ) মাসিক আয় ৬ হাজার থেকে ১০ হাজারের মধ্যে। অর্থাৎ তাদের মাসিক আয় গড়পড়তা মানের। বেশির ভাগ রাস্তার ব্যবসায়ীই নিম্নশ্রেণির এবং তাদের জীবনযাত্রার মানও অনেক নিম্ন। কঠোর পরিশ্রম করার পরেও তাদের আয় জীবনকে মসৃণ করার জন্য যথেষ্ট নয়। খুব অল্প সংখ্যকই সন্তোষজনক উপার্জন করেন।
  • দেখা গিয়েছে, প্রতিমাসে সাধারণত একজন খাবার বিক্রেতার আয় হয় ৪ হাজার ১০৫ টাকা (ব্যবসায় বিনিয়োগ ছাড়া), পত্রিকা বা বই বিক্রেতার আয় ১৮২৬ টাকা, ভোগ্য পণ্য বিক্রেতার আয় ১২৫৬ টাকা, গহনা বিক্রেতার আয় ১১৪০ তাকা, ফুল বিক্রতার আয় ১০২৫ টাকা এবং অন্যান্যদের আয় ২২৮০ টাকা। 
  • একজন ভ্রাম্যমাণ খাবার বিক্রেতার মাসিক ব্যয় ২৮৮৭ টাকা। এর মধ্যে এক হাজার টাকা সে নিজের খাবার এবং ব্যবসার প্রয়োজনে ব্যয় করে এবং বাকি টাকা পরিবারের পেছনে ব্যয় হয়। একজন পত্রিকা/বই বিক্রেতা প্রত্যেক মাসে ১২৯৫ টাকা খরচ করেন। একজন ভ্রাম্যমাণ ভোগ্য পণ্য বিক্রেতা ব্যবসায় বিনিয়োগ ছাড়া সাকুল্যে ৮৯১ টাকা খরচ করেন। গহনা বিক্রেতার মাসিক গড় ব্যয় ৮০৯ টাকার মতো এবং ফুল বিক্রেতার ক্ষেত্রে সেটা মাত্র ৭২৬ টাকা। অন্যান্যরা ব্যয় করে ১৬০৮ টাকার মতো।

সাধারণত নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্তরাই হকারদের গ্রাহক। গৃহিনী, কর্মজীবী নারী ও পুরুষ এবং শিক্ষার্থীরাই এসব পণ্য বেশি কিনে থাকে। আবার, দিনমজুর, রিক্সাচালক এবং ব্যাচেলররা কমমূল্যের ঝালমুড়ি, ভেলপুরি এবং ফুচকার মতো রাস্তার খাবার খেয়ে থাকে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে চাঁদাবাজির কারণে এই ব্যবসাগুলো ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়। লাইনম্যান নামে পরিচিত স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা গঠিত চক্রের কাছে এসব হকারদের তাদের দোকান বসানোর অনুমতি নিতে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা হিসেবে তোলা এই টাকাগুলো স্থানীয় নেতা, পুলিশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সরকারদলীয় নেতাদের মাঝে ভাগ হয়ে যায়।

শহরের লিডারস এসোসিয়েশনের মতে,

  • শহরের ফুটপাতগুলোতে প্রায় ৩৫ লক্ষ দোকান রয়েছে। এসব ফেরিওয়ালাদের থেকে প্রতিদিন প্রায় তিন কোটি টাকার মতো চাঁদা তোলা হয়।
  • দোকানের আকার এবং অবস্থানের ওপর নির্ভর করে হকারদের দৈনিক ৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়।
  • প্রতিদিন ৪৫০০-৫০০০ নতুন দোকান বসে।
  • গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম, পল্টন, মতিঝিল, দৈনিক বাংলা মোর, গোলাপশাহ মাজার, নিউ মার্কেট এরিয়া, জিরো পয়েন্ট, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এবং ফুলবাড়িয়াতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হকার দেখা যায়।
  • সকাল ৮ টা থেকে শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত চাঁদাবাজি চলে।
  • গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম এবং পল্টন এলাকার ৩৫০০ দোকান থেকে প্রতিদিন প্রায় ২৮ লাখ টাকা চাঁদা তোলা হয়।
  • ঈদের আগ দিয়ে চাঁদার পরিমাণ বেড়ে যায়। যেমন মিরপুর ১ থেকে মিরপুর ১০ যাওয়ার ফুটপাতের হকারদের ঈদের সময় ২০০ থেকে ৬০০ টাআ পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়। অন্যান্য সময়ে যার পরিমাণ ১০০ থেকে ৩০০ টাকা।
  • সাম্প্রতিক একটি বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, গুলশানে একটি ৫৫০০ স্কয়ার ফিটের নীচতলার বাসার ভাড়া ঠিক করা হয়েছে প্রতি মাসে ১৫ লাখ টাকা। প্রতি স্কয়ার ফুটে প্রায় ২৭৩ টাকা, যার মাধ্যমে বসবাসকারীরা নিরাপত্তা প্রয়োজনীয় সুযোগসুবিধা এবং গ্যাস-বিদ্যুত-পানির সংযোগ পাবে। কিন্তু হকাররা প্রতি স্কয়ারফিটের জন্য এর প্রায় সাতগুণ অর্থাৎ ১৮১২ টাকা খরচ করেও কমার্শিয়াল স্পেসের তুলনায় কোনো সুযোগ সুবিধাই পান না।

 

যদিও নিরক্ষর এবং অদক্ষ মানুষদের জন্য এটিই একমাত্র উপার্জনের জায়গা, কিন্তু তারপরও এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে এই ভ্রাম্যমাণ ব্যবসাগুলো শহরে নানা সমস্যা তৈরি করে। যেসব ফেরিওয়ালারা ফুটপাত এবং আন্ডারপাসে দোকান বসায়, তারা যে কেবল গাড়ি এবং পথচারীদের চলালেই সমস্যা করে তা নয়, সাথে সাথে চাঁদাবাজির সমস্যাটিও নিয়ে আসে।


বিক্রেতারা একটি বিশাল জায়গা দখল করে দোকান বসায়, যার ফলে শহরের প্রধান সড়কগুলো সংকীর্ণ হয়ে গাড়ি এবং পথচারীদের অসুবিধা সৃষ্টি করে। রাস্তায় দোকানগুলো এলোমেলোভাবে থাকার কারণে গাড়ির ভিড় তৈরি হয়, যানবাহনের চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। এটি সড়ক দুর্ঘটনা এবং যানজটের প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। এগুলো কেবল সাধারণ মানুষকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, হকাররা নিজেরাও এরফলে প্রভাবিত হয়। চাঁদার টাকা দেয়ার ফলে তাদের সার্বিক আয় কমে যায়। সরকার এবং চাঁদাবাজদের চাপে হকারদের নিজের জীবন বাঁচাতে চাঁদা দেয়া ছাড়া অন্য কিছু করার থাকে না। অগ্রণী ব্যাংকের সামনে বসা একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী আবু তাহের বলেন, “আমরা কী করতে পারি? আমাদের তো বাঁচতে হবে। আমরা পুলিশ দেখলেই পালিয়ে যাই।”

  • ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ উভয় সিটি কর্পোরেশনই ২০১৫ সাল থেকে ফুটপাতগুলো হকারমুক্ত করতে খুবই তৎপর। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কিছুদিন পরেই ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাইদ খোকন সড়ক এবং ফুটপাতগুলো হকারমুক্ত করার মিশন নিয়ে সড়ক পরিবহন এবং সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে সাক্ষাত করেন।
  • সাম্প্রতিক উচ্ছেদ অভিযানে, ২৭ অক্টোবর ডিএসসিসি (দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন) গুলিস্তানের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করতে গেলে হকাররা তা প্রতিরোধ করে এবং কর্তৃপক্ষের সাথে সংঘর্ষেও জড়ায়।

উত্তেজনা প্রশমনে, মেয়র সাইদ খোকন ঘোষণা করেন, স্থায়ী ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত হকাররা অস্থায়ীভাবে তাদের দোকান গুলিস্তানের পাশেই মহানগর নাট্যমঞ্চে স্থানান্তর করতে পারবেন।

  • হকারদের দুটি সংগঠন- বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ হকার্স লীগ চাঁদাবাজি এবং স্থানান্তরের পরিপূর্ণ পরিকল্পনা ছাড়াই উচ্ছেদের বিরুধে প্রতিবাদ করে আসছে। দুটি সংগঠনেরই সভাপতি এমএ কাশেম বলেন, “বিকল্প ব্যবস্থা না করেই আমাদের উচ্ছেদ করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।” অবশ্য তিনি সাইদ খোকনের পুনর্বাসনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, “যতদিন চাঁদাবাজরা স্থানীয় নেতা এবং পুলিশদের আশীর্বাদপুষ্ট থাকবে ততদিন এই পরিস্থির উন্নয়ন হবে না।” তিনি আরো বলেন, “দখলদাররা হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করেই ফুটপাতগুলোতে স্থায়ী স্থাপনা বানানোর কাজে অনেকদূর এগিয়ে গেছে।” যেহেতু হকাররা খুবই অল্প দামে দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপথ যেমন শাক-সবজি, রান্নার জিনিসপত্র, বিভিন্ন ছুরি-চামচ বিক্রি করে, তাই হকারদের চাহিদা কখনো শেষ হয় না। উপরন্তু, নিজেদের অবৈধ আয় টিকিয়ে রাখতে চাঁদাবাজরা তাদের প্রভাব খাটিয়ে হকারদের ব্যবসার সুযোগ করে দেয়।

সমস্যাটির মূলে কাজ করা দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করেই চাঁদাবাজি টিকে আছে। একটি যথাযথ ব্যবস্থা ছাড়া স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে না। সেই সাথে সরকারকেও এই দরিদ্র হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। যেন তারা কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করেই নিজেদের উপার্জন করতে পারে।
যথাযথ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ধরা সম্ভব। এইসব চাঁদাবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া রজনীতিবিদ এবং কর্মকর্তাদের সনাক্ত করতেও সরকার উদ্যোগ নিতে পারে। হকার অধ্যুষিত সড়কের কারণে যানজট তৈরি হয় এবং তাদের কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা দুর্নীতির জাল মানুষের জীবনমানও কমিয়ে দেয়। আমরা যদি চাঁদাবাজির ম সমস্যা দূর করতে পারি তাহলে শহরে দুর্নীতির মাত্রা কমবে এবং নগরের কাঙ্ক্ষিত উন্নতি সম্ভব হবে।

কৌতূহলোদ্দীপক প্রাসঙ্গিক ঘটনা
লালমাটিয়া মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সিমি রশিদ তাদের কলেজের সামনের ভ্যানগুলো সম্পর্কে বলেন, “কলেজের প্রধান ফটকের সামনেই তিনটি বড় ভ্যানে সামান্য খুঁতের কারণে বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে বাতিল করে দেয়া কাপড় খুবই অল্প দামে বিক্রি হয়। তাই বেশ অনেক ক্রেতা আকৃষ্ট হয়, যার ফলে রাস্তার এক তৃতীয়াংশই মানুষ দিয়ে ভরে যায়। জাকির হোসেন রোডের দিকে যাওয়া সংকীর্ণ রাস্তাটি এর ফলে আরো সংকীর্ণ হয়ে অনেক যানজট তৈরি করে।” তিনি আরো বলেন, “অবস্থার গুরুত্ব বোঝার পরও আমি এই ভ্যানগুলো থেকে জিনিস কিনি, কেননা সুবিধাই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ছোটখাটো যানজট তৈরি করলেও এই হকাররা শপিং করা অনেক সহজ করে দিয়েছে।”

ছোট ব্যবসা: চাঁদাবাজি এবং হকার সমস্যা

The megacity Dhaka is the capital city of Bangladesh which is also one of the most densely populated cities in the world. With the expansion of urbanization and modernization, the city has emerged as the hub of all political, economic and social activities. The supplies have increased as have the demands by the ever-growing population which now stands at almost 9 million.

There have been tremendous developments in business and commerce with the rapid growth in industrialization, creating opportunities for the common people. While big businesses provide employment opportunities to people from a rather well-off background, the small business sector is limited to the lesser fortunate, lower class people. When natural calamities, landlessness and lack of earning opportunities push the rural people towards absolute poverty, these poor people move to cities, where hawking in the street is one of the most popular economic activities, occupying a niche market in the small business sector. The Hawkers due to their lack of formal education, provide various services to the city dwellers by providing commodities at a cheap rate. They set up shop on the footpaths making it easier for buyers who don’t have to go through the hassle of going to shopping malls to get a certain commodity. As this service is almost indispensable, the hawkers appear throughout the city.

  • According to the Dhaka City Corporation‟s estimate there were around 90,000 street hawkers in the city, but in practice this figure is more than 300,000 (Islam. 2007). According to the fiveyear-long statistics of the Chainnamul Hawker Samity, the total number of hawkers in the country is 27 lakh and there are about 1.3 lakh 7around 70,000 seasonal hawkers.

During the survey following reasons were identified as main consequences behind their involvement in hawking profession:

Table 1: Educational status of street vendors

About 42% respondents of street vendors completed their secondary education and 8% had no education where 5% vendors were graduated even. It was found that no one had the degree of post graduate.

Table 2: Range of monthly average income of street vendors

  • It is clear from the Table that, most of the vendors’ monthly income is from 6,000 to 10,000 (31%) as most of them belong to average monthly income. Majority of the street vendors are found as poor class people with lower standard of living. Though they work hard, their income is not sufficient to lead their life smoothly. A very few of them earn at a satisfactory level.
  • It has been observed that in a typical month a food vendor earns about tk. 4,105 (without investment in business), a newspaper/book vendor earns tk.1826, a consumer product vendor earns Tk1,256, a jewelry item vendor earns tk. 1,140, a flower vendor earns 1025 and other/s earn tk. 2,280 from vending.
  • The expenditure of a mobile food vendor is near about tk. 2,887 for a typical month, in which s/he expends tk. 1000 for his/her own food and business purpose, and the rest is for other family expenditure. A newspaper/book vendor expends about tk. 1295 for each month. A very mobile consumer product vendor can expend hardly tk. 891 without investment of his/her business. A jewelry item vendor’s monthly average expenditure is approximately Tk. 809 as well as flower vendors are tk. 726. Other types expend on average tk. 1,608 by vending.

The customer base of the hawkers consists of people of lower, lower-middle class and middleclass background. Housewives, working men and women, students who get access to items required for everyday use. Again, day laborers, rickshaw pullers, bachelors depend on street food vendors who provide different types of food at a low price- which influx the streets with Jhalmuriwalas, Bhelpuriwalas and Fuchkawalas.

But unfortunately, this business faces a huge loss due to the menacing practice of extortion. A group of men, called “Linemen” consisting of local gang leader extort money from hawkers in return of which the hawkers get to set up their shops. Then this hefty amount gets divided among a number of local leaders, police officials, administrative officers and leaders of the ruling party.

According to the Leaders Association of the city,

  • Around 35 lack shops are put up in the footpaths of the city, where the roadside hawkers have to pay 3 crore taka a day.
  • Hawkers pay 50 takas to 500 taka per day depending on the size and location of their stall.
  • A total of 4500-5000 shops are set up every day.
  • The highest number of hawkers can be found in the prime locations of Gulistan, Baitul Mukarram, Paltan, Motijheel, Dainik Bangla intersection, Golap Shah mazar, New market area, Zero point, Bangabandhu Avenue, Phulbaria.
  • Extortion continues from the peak hours of 8 am in the morning to 8 pm at night.
  • 3.500 shops in Gulistan, Baitul Mukarram and Paltan areas pay 28 lack Taka in extort money in a day.
  • The amount of money extorted rises during Eid. For example, on the footpaths of Mirpur-1 and Mirpur 10, a hawker pays the “Linemen”, Tk 200 to Tk 600 ahead of Eid which is Tk 100 to Tk 300.
  • A recent advertisement shows that, renting a ground floor unit of 5,500 square-foot at Gulshan 2 costs Tk1,500,000 per month –i.e. Tk273 per square-foot where tenants can enjoy security, necessary facilities, utility connections etc. But hawkers end up paying Tk1812 per square-foot, which is seven times higher, while receiving none of the benefits from commercial spaces.

Even though, this is the only source of income for this illiterate and unskilled labor force, hawking creates a negative impact on the city. Hawkers who set up shop in the footpaths, pavements and the underpasses of markets not only hinders the smooth movement of vehicles and pedestrians but also brings to the light the problem of extortion. The vendors are seen to occupy a large amount of space in the streets of the city which narrows down the main roads, making it highly uncomfortable for pedestrians. The presence of many shops scattered throughout the streets, congest the area with cars, restricting movement of the vehicles. This acts as a catalyst for traffic jams and also causes many roadside accidents. But it does not concern the common people only but also highly affect the hawkers themselves. Their overall income decreases after paying up the extortion money. The pressure from the government and the extortionists, leaves the hawkers with no other ways of earning a livelihood. Abu Taher- a local vendor, seated in front of the Agrani Bank says “What can we do? We have to make a living! We just run away when we see police coming our way.”

  • Both Dhaka North and Dhaka South city authorities have been quite strict about removing the footpaths and the streets from hawkers and street vendors since 2015. Shortly after the city corporations’ elections in Dhaka, Dhaka South Mayor Sayeed Khokon met with Road Transport and Bridges Minister Obaidul Quader regarding their mission to free the city walkways and streets from hawkers
  • In the latest eviction drive, the DSCC evicted illegal shops in Gulistan on October 27, which was resisted by the hawkers and led to a clash between them and the authorities.

Amid the tension, DSCC Mayor Khokon announced that the evicted hawkers will be temporarily allowed to run their makeshift shops in Mahanagar Natyamancha near Gulistan before a permanent arrangement has been made.

  • Two hawkers’ associations – Bangladesh Hawkers’ Federation and Bangladesh Hawkers’ League –are working towards ending extortion and protesting against the eviction attempts without proper plans to relocate their business. “Evicting us before setting up alternative facilities for us is completely unacceptable,” said MA Kashem, president of both the associations. However, he welcomed the DSCC mayor’s initiative to relocate them.

“This will not end as long as the extortionists have the blessings of the local leaders and police,” said a DNCC high-up, seeking anonymity. “The grabbers have gone so far as to build permanent establishments of the city walkways, violating the High Court order,” he added. As hawkers sell everyday usable items like vegetables, kitchen ware, kitchen cutleries etc. at a very low cost, without having to go to the markets, the demand for hawkers never die. Moreover, due to powerful figures, extortionists make sure that hawking persists in order to save their corrupted income source.

The extortion problem deals with the corrupted system which works at the root of the problem. Without proper institution building, there will not a provision for accountability and transparency. There should also be initiatives taken by the government to create alternative opportunities for these poor hawkers so that they can earn their livelihood without causing the associated issues.

With the exitance of proper law and order, the local gangs can be caught. The authorities can also initiate a crackdown of the corrupted politicians or public officials who support the whole process of extortion. Hawkers occupying the roads leads to heavy traffic and corruption which leads to the deterioration of the overall quality of people’s lives- all of which is weaved from the same thread. If we can address a problem like extortion, the city will be light with less corruption and more development which is preeminent for the progress of the city.

An Interesting take towards the topic: Simi Rashid, a student of Lalmatia Mohila College talks about the vans in front of her college, “There are three big vans setting shop in front of the main gate which sells slightly defected clothes rejected from various RMGs at a very cheap rate- attracting a number of customers covering one third of the road. Due to this the already narrow road that leads to Zakir Hossain Road finds itself highly congested with vehicles.” She also added, “Despite understanding the situation, I still purchase clothes from these vans because convenience is what matters most to me- the hawkers make shopping quite convenient even if it is at the cost of a minor traffic jam.”