ভেজাল খাদ্য
বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির বড় রকমের প্রভাব রয়েছে এদেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসের উপর। প্রতিটি ঋতুতে আর বছরজুড়ে উদযাপিত প্রতিটি উৎসবেই বাঙালির পানভোজনের বিচিত্রতা লক্ষ্য করা যায়। পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন, পূজা, ২১শে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবসের মতো বিশেষ দিনগুলোতে রাজধানী শহর ঢাকার রাস্তায় অসংখ্য অস্থায়ী রেস্তোরাঁ আর দুচাকার খাবার গাড়ি অতি পরিচিত দৃশ্য। বাঙালির সমৃদ্ধ রন্ধনপ্রণালীর পসরা সাজিয়ে বসে এই অস্থায়ী রেস্তোরাঁগুলো।
ভোজনরসিক মানুষের এই শহরে তাই খাদ্যে ভেজাল আর দূষণ বেড়েই চলেছে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন তথা ডব্লিউএইচও’র তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর ২২ লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরণ করছে খাদ্য ও বায়ুবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে, যার মাঝে ১৯ লক্ষই শিশু। আইসিডিডিআরবি’র জরিপ বলছে, প্রতিদিন ৫০১ জন মানুষ এ সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
সম্প্রতি খাদ্যে ভেজাল ও ভেজালের মাত্রা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ পাবার পর পুরো ঢাকা শহরই যেন বড় ধরনের ঝাঁকুনি খেয়েছে। গুড়া মরিচে ইটের গুড়া, খোলা চায়ে কাঠের গুড়া, মিষ্টান্নে আলকাতরা, কয়লা আর টেক্সটাইল ডাইংয়ের রং এবং দুধে পাওয়া গেছে ডিটারজেন্ট। শহরের নিত্যদিনের খাদ্যে এমনকি শিশু খাদ্যেও পাওয়া যাচ্ছে নানারূপ অনিরাপদ প্রিজারভেটিভ ও কীটনাশক (সেলমোনেলা অ্যাগোনা ব্যাকটেরিয়া)।
অতি সম্প্রতি, ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন’ ৪২টি খাদ্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ৫৩টি খাদ্যে ভেজাল পেয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘এসিআই লিমিটেড’, ‘মোল্লা সল্ট (ট্রিপল রিফাইনড) ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড’, ‘প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ’, ‘মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ’, ‘সিটি গ্রুপ’, ‘বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড’, ‘ডেনিশ ফুড লিমিটেড’ এবং ‘ওয়েল ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানি’র মতো নামীদামী প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। লবণ, হলুদ-মরিচের গুড়া, তেল, ময়দা, নুডলস, ঘি, বিস্কুটসহ নানা প্রকারের খাদ্যে এসব ভেজাল পাওয়া গেছে। বর্তমান দৃশ্যপটের ভিত্তিতে এদেশে খাদ্য নিরাপত্তার হুমকির স্বরূপ অনুধাবন করতে হলে আমাদেরকে খাদ্যে ভেজাল ও দূষণের আরো গভীরে গিয়ে দেখতে হবে।
খাদ্যের কিছু নির্দিষ্ট উপাদান, প্রাকৃতিক গঠন ও এর গুণমানের পরিবর্তন করা মানেই খাদ্যে ভেজাল দেয়া। এতে করে খাদ্য নিম্নমানের এবং অনিরাপদ হয়ে পড়ে। সার, হরমোন, স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিকস আর জেলিং এজেন্টের মতো রায়াসায়নিক প্রয়োগ করে খাদ্যকে টাটকা রূপ দেয়া হয়।
- খাদ্যকে টাটকা করার প্রিজারভেটিভ:
ঢাকার স্থানীয় খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহকারী ব্যবসায়ীদের মাঝে ফরমালিন সবচেয়ে জনপ্রিয়। ৩৭% ফরমালডিহাইডের এই রাসায়নিক দ্রবণ মূলত মানুষের মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য অধিক পরিচিত। স্পষ্টত, ফলমূল, শাকসবজি, মাছ, মাংস, দুধ, ইত্যাদি খাদ্যে এই রাসায়নিক প্রয়োগ মানুষের জন্য ভয়াবহ ফল বয়ে আনবে। উপরন্তু, ফরমালিনে রয়েছে বেশকিছু কারসিনোজেনিক পদার্থ যেগুলো মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
- রাইপেনিং এজেন্ট:
রাইপেনিং এজেন্ট হিসেবে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, বিশেষ করে ফলমূল ও শাকসবজি পাকাতে।
- খাদ্যের রং:
খাদ্যকে আরো উজ্জ্বল, রঙিন এবং লোভনীয় দেখাতে অরামাইন, রোডোমাইন বি, ম্যালাকাইট গ্রিন, ইয়েলো জি, অ্যালিউরা রেড এবং সুদান রেডের মতো বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, মশলা, জুস, সস, মশুর ডাল আর তেলে ব্যাপক পরিমাণে ক্রোম, টার্টিজিন আর ইরিথ্রোসিনের মতো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়।
নীচে খাদ্যে ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলো শরীরে প্রবেশ করলে কী ধরনের রোগ হতে পারে তার একটি তালিকা দেয়া হলো।
ঢাকা শহরে খাদ্যের মান নিম্নমুখী হবার পেছনে বহুবিধ কারণ রয়েছে। কিছু বিদ্বেষপূর্ণ কারণ থাকলেও খাদ্যমানের অবনমনের পেছনে নিম্নোক্ত কারণগুলোই অধিক দায়ী।
- উৎপাদন ব্যবস্থা
কৃষকেরা শস্যখেতে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ দূর করতে নানাবিধ রাসায়নিক প্রয়োগ করে থাকেন। অধিকাংশ কৃষকই এসব কীটনাশকের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্বন্ধে অবহিত নন। কৃষকদের সচেতনতা ও কৃষি বিষয়ক পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব এবং কীটনাশকের কম ক্ষতিকর বিকল্পের অভাব খাদ্যে দূষণের বড় কারণ। - দুর্নীতি ও প্রতারণা
খাদ্যে ভেজাল ও দূষণের সবচেয়ে বড় কারণ হলো স্থানীয় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহকারীদের দুর্নীতি ও প্রতারণা। তারা রাসায়নিক ও প্রিজারভেটিভ যুক্ত করার মাধ্যমে খাদ্যের চেহারাই পাল্টে দেন। তাছাড়া, খাদ্যের প্যাকেজিং ও লেবেলিংয়ের সময় খাদ্যের গায়ে ভুল মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ সেঁটে দেয়াও খাদ্য সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিরই অংশ।
রেস্তোরাঁ এবং ভোজনালয়গুলোতেও খাদ্য ও খাদ্য উপাদানে ভেজাল মেশানোর বিষয়টি লক্ষণীয়।
এসব কারণা ছাড়াও সরকারের নিয়মিত ও যথার্থ পর্যবেক্ষণের অভাব এই সমস্যাকে আরো বৃদ্ধি করছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি। খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে নিম্নোক্ত নীতিমালা ও আইনগুলো বিদ্যমান।
- ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদে এদেশে প্রথমবারের মতো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন এবং ২০১৩ সালে খাদ্য নিরাপত্তা আইন পাশ হয়।
- ২০১৫ সালের ২রা নভেম্বর ‘বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথোরিটি’ (বিএফএসএ) এবং ‘বাংলাদেশ ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি নেটওয়ার্ক’ স্থাপিত হয়।
- খাদ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান।
- ২রা ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা দিবস হিসেবে ঘোষণা।
২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত এক বছরে কার্যনির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে পরিচালিত ভেজাল বিরোধী অভিযানে ২৩৪৫টি মোবাইল কোর্টে মোট ২৩৯ জনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, জরিমানা করা হয়েছে ২ কোটি টাকার বেশি। এই অভিযানগুলো পরিচালিত হয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০১৩’র আওতায়। অন্যদিকে, বিএফএসএ’র তথ্যমতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে সর্বমোট ৪২০৯টি মামলা করা হয়েছে। তারাও মোট ১৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২৭ জনকে অভিযুক্ত করেছে এবং জরিমানা করেছে ৮৪ লক্ষাধিক টাকা। ২০১৮ সালেই খাদ্য আইন ভঙ্গের জন্য মোট ১৬০টি মামলা হয়েছে।
সরকারের নানাবিধ নীতিমালা এবং আইন থাকা সত্ত্বেও খাদ্যে ভেজালের মাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় সরকার কঠোর পন্থা অবলম্বনে বাধ্য হচ্ছে। সরকার এখন রেস্তোরাঁ এবং ভোজনালয়গুলোতে খাদ্যের মান ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বিস্তৃত ও পূর্ণাঙ্গ পরিদর্শন শুরু করেছে। এই অভিযানে সরকার একটি গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করেছে। সবুজ, নীল, হলুদ এবং কমলা রঙের রঙিন স্টিকার ব্যবহার করে এই গ্রেডিং করা হবে যেগুলো যথাক্রমে এ+, এ, বি+ এবং সি গ্রেড নির্দেশ করবে।
- ৯০ বা ততোধিক পয়েন্ট পেলে সবুজ স্টিকার- চমৎকার (এক্সিলেন্ট)
- ৮০-৮৯ পয়েন্ট পেলে নীল স্টিকার- ভালো (গুড)
- ৬০-৭৯ পয়েন্ট পেলে হলুদ স্টিকার- গড়পড়তা (অ্যাভারেজ)
- ৬০ এর কম পয়েন্ট পেলে কমলা স্টিকার- কোনো গ্রেড নেই (পেন্ডিং)
৬০ এর কম পয়েন্ট পাওয়া রেস্তোরাঁগুলোকে তাদের অবস্থার উন্নতি করবার জন্য নির্ধারিত সময়ের নোটিশ দেয়া হয়েছে। এর মাঝে পরিবর্তন না হলে তাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয় হবে।
এছাড়াও সরকার আরো কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে যেমন- কেবল রেস্তোরাঁই নয়, খাদ্য উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান পর্যবেক্ষণ করতে পারে; খাদ্য উৎপাদনের ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে আর কঠোর হতে পারে। তাছাড়া জৈব কৃষিব্যবসাকে (প্রবর্তনা, ঢাকা মালকড়ি ইত্যাদি) উৎসাহিত করে, খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন ও গুরুতর সাজার ব্যবস্থা করে খাদ্যের ভেজাল সমস্যা সহজেই কমিয়ে আনা যেতে পারে।
যেহেতু বর্তমান সময়ে সাধারণ মানুষ পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে সচেতন, তারা খাদ্য নিরাপত্তার সার্বিক দিক বিবেচনা করে সহজেই নিজেদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তবে, সাধারণ মানুষের এই সচেতনতাও যথেষ্ট নয়। খাদ্য নিরাপত্তা আইন নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে। কেননা, প্রতিদিন শতশত মানুষ খাদ্য জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে, বাড়ছে মানুষের চিকিৎসা ব্যয় আর খাদ্য খাতে সরকারের ভর্তুকি। যে শহরে শিশুরা পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে না, মানুষেরা নিত্যদিন খাদ্য সংশ্লিষ্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, সে শহর কীভাবে এগিয়ে যাবে?
কৌতূহলোদ্দীপক প্রাসঙ্গিক বিষয়
দুই সন্তানের মা নুরুন্নাহার একজন স্কুল শিক্ষিকা। খাদ্যে ভেজাল প্রসঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি জানান, “প্রতিদিন ১০ ঘন্টা কাজ করার পর বাচ্চাদের জন্য রান্না করার সময়ই থাকে না। তাই বাচ্চাদের টিফিনের জন্য আমি হিমায়িত প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের উপর নির্ভরশীল ছিলাম। কিন্তু, এরপরই লক্ষ করলাম যে বাচ্চারা ঘনঘন রোগাক্রান্ত হচ্ছে। সেসময়ই আমি জানতে পারলাম ঢাকা শহরে খাদ্যে ভেজালের ভয়াবহ মাত্রা সম্পর্কে।”
তিনি আরো বলেন, “তৎক্ষণাৎ আমি জৈব খাদ্যের দিকে মনোযোগ দেই। স্থানীয় বাজার থেকে সবজি আর ফলমূল কিনে আনলেও আমি সেগুলোকে দীর্ঘক্ষণ লবণ পানিতে ধুয়ে ব্যবহার করি। আমি আমার বাচ্চাদের যেকোনো ফার্মজাত মাংসের হাড় চাবাতেও নিষেধ করি।”
খাদ্যে ভেজাল
The rich history and diverse culture of Bangladesh has a huge influence on the food habits of its people. The arrival of different seasons and the celebration of various festivities throughout the year marks the diverse journey of the Bengalis in their gastronomical venture. A common scenario in Dhaka, the capital city of Bangladesh is -the streets filled with a variety of food carts and restaurants which on special occasions like Pohela Boishak, Falgun, Puja, Ekushe February, Shadhinota Dibosh fills up with delectable platters of rich Bengali cuisine.
So, for a city bustling with people who love to eat, food adulteration and contamination hits home. According to an estimate by the WHO, every year 2.2 million people in Bangladesh die due to food borne and air-borne diseases, among which 1.9 million are children. There has been 501 hospital visits per day this year, due to diseases as such found out in a survey by the ICDDR,B.
A massive shock engulfed the city of Dhaka upon the discovery of the degree of contamination in the food susbtances- brick dust in chili, sawdust in loose tea, tar, coal and textile dyes in sweetmeats and detergent in milk. Preservatives and pesticides on every day food items, even on baby food (Salmonella Agona Bacteria) entails on the condition of food safety in the city. Very recently the Bangladesh Standards and Testing Institution has found signs of contamination in 53 food items supplied by 42 firms including several leading food processors such as ACI Ltd, Molla Salt (Triple Refined) Industry Ltd, Pran-RFL Group, Meghna Group of Industries, City Group, Bangladesh Edible Oil Ltd, Danish Food Limited and Well Food and Beverage Company. Affected were a variety of food including daily essentials like salt, turmeric, chilli powder and also oil, flour, noodles, ghee, biscuits, etc. In order to understand the threat of food safety on the basis of the current scenario, we need to dig deeper into the details on food adulteration and contamination.
Food becomes adulterated when upon addition of certain substances, the natural composition and quality of the food is altered making is sub-standard or unsafe for consumption. Chemicals such as fertilizers, hormones, steroids, antibiotics, gelling agents are added to different food substances to give it a fresh appearance.
- Preservatives to make the food appear fresh: A chemical substance known as Formalin (a solution of 37% Formaldehyde) is quite famous in this category among the local food suppliers in Dhaka. The substance is well known for the preservation of human corpse. Evidently, injecting this substance heavily on fruits, vegetables, poultry, meat, fish, milk, etc. will definitely wreak havoc in the human condition. Moro so after it was discovered that formalin has carcinogenic substances, which can precipitate cancer.
- Ripening agents Calcium Carbide is used extensively to ripen fruits and vegetables.
- Food colors: To make the food look more appealing- brighter and colorful, poisonous coloring agents like auramine, Rhodomine b, Malachite green, Yellow g, Allura red and Sudan Red are applied on food. Other agents such as chrome, tartizine and erythrosine are heavily used in spices, juices, sauces, lentils and oils.
Here is a chart of the various kinds of diseases contracted when chemicals from the contaminated food substances enter the human body.
There are many causes which has driven the quality of food in the city down the drain. While behind this decrease in quality, there are malicious reasons at play but other big reasons also have a big role to play here.
- Production Practices Farmers often use different types of chemicals to drive away pests and insects on the farm without the knowledge of how harmful these pesticides are. Due to lack of awareness, less toxic alternatives and sufficient agro-based knowledge, this becomes the fate of the food that we consume.
- Corruption and Fraud The biggest reason behind the contamination of food substance is the corruption and fraud by the food suppliers- both local and national. They are the ones who tamper with the quality of food- adding chemicals, preservatives to the food altering the way it looks. Labelling and packaging food with the wrong expiry date all fall under the umbrella of food corruption.
- Food Management Before the packaging, the food changes hand many a times. In different places, the process does not follow sanitary means- not wearing gloves or using unclean water all entails the lack of a proper food management system. The food industry is in a dire need of investing on cold chains, means of preservation and packaging.
In restaurants and other eateries, the adulteration of foods and ingredients is highly noticeable. The condition of the kitchen, food stock, spices etc. is On top of these causes, lack of proper and regular monitoring by the government is exacerbating the condition, posing a great threat to public health. Here are some of the policies and acts that exist to tackle the problem of food adulteration:
- The Parliament passed the country’s first consumer protection law in 2009 and food safety act 2013, covering food safety and security.
- The establishment of Food Safety Authority (BFSA) and Bangladesh Food Safety Laboratory Network on 2nd February, 2015
- The formation of Fight against the food adulteration
- Declaration of the 2nd of February as the National Food Safety Day
Under the Food Safety Act, 2013, 2,345 Mobile courts run by executive magistrate has sentenced 239 people to imprisonment and fined more than Tk2 crores from July 2017 to June 2018. A total of 4,209 cases were filed against the offenders, according to BSFA. They also operated 18 mobile courts, convicted 27 people and imposed fines amounting to Tk 84 lakh. A total of 160 regular cases filed under the law in 2018 for violating the law.
Although the government introduced many a policy and acts to ensure the safety of food, the recent events of heavy adulteration of food in the city has pushed the government to take a severe approach. It has begun a thorough inspection of food courts and the quality of food that they serve, emphasizing on their hygiene quotient through an elusive grading system. By using colored stickers- Green, blue, yellow and orange- symbolizing the grades A+, A, B+ and C respectively the restaurants are to be inspected.
- 90 points or above- Green Sticker (Excellent)
- 80-89 points- Blue Sticker (Good)
- 60-79 points- Yellow Sticker (Average)
- Below 60 – Orange Sticker (Pending grade) *
*The pending grade is given to restaurants are given a notice to improve their condition before their grades are reviewed, otherwise they shut it down. The government can take more initiatives like this to inspect not only into restaurants but also on other food producing areas, trade license to produce items shouldn’t be given to just anyone. If there were more people engaged in organic farming (Places like Probortona, Dhaka dough sell organic food substances) strict rules to maintain the standard and heavy penalties upon contamination of food, the problem can be abated more easily.
Now that the general population are more aware of what is going around them, they will be more conscious of what to eat. But that is not enough, campaigns should be promoted in demand of food safety laws. Hundreds of people are getting sick every day, the number of cancer patients are going through the roof, people are losing more money on treatments and the government is facing more loss on the food industry. In a city, if the children can’t get proper nutrition and the people are regularly inflicted by diseases caused by the food that they consume here, how can we expect the city to move forward?
An Interesting take on the topic:
Nurun Nahar, a school teacher and a mother of two shares her experience on the matter, “I have to work 10 hours everyday and can barely manage time to cook for my children. Hence, I used to heavily depend on frozen processed food when it came to providing tiffin for my children but then I noticed how frequently they were falling ill. The same time around, I read up on how most of the food in Dhaka gets adulterated. I have immediately switched to organic food but sometimes, when I have to consume fruits and vegetables from the local market, I try to wash them for a long time in salt water and I always advise my children to never chew on the bones of farmed animals”