transportation

গণপরিবহন: সুবিধা এবং সুলভতা

প্রায় ৯০ লক্ষ জনগণ নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা একটি উদীয়মান মেগাসিটি। এই ছোট শহরটিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা নগরায়ন এবং শিল্পায়নের ফলে ঢাকা পরিণত হয়েছে সকল আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডের চারণভূমিতে। অর্থনৈতিক এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিস্তারের ফলে এই শহরে নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন শহর থেকে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় মানুষ দলে দলে ঢাকায় ভিড় করছে। এভাবেই ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল নগরীর একটিতে পরিণত হয়েছে।

দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে নগরের সামগ্রিক বিকাশ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সমস্যা দ্বারা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এরফলে ঢাকা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় অবসবাসযোগ্য শহর হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। বিপুল জনসংখ্যার এই নেতিবাচক প্রভাব প্রতিফলিত হচ্ছে তীব্র যানজট এবং পরিবেশ দূষণের মাধ্যমে। এই শহর একটি টেকসই শহুরে গণপরিবহনের অবকাঠামো দিতে অক্ষম হয়ে পড়েছে। তাই দেখা যাচ্ছে যথাযথ গণপরিবহন ব্যবস্থা বিবর্জিত অল্প কিছু শহরের মধ্যে ঢাকা অন্যতম। সাধারণ মানুষের জন্য গণপরিবহনর সুযোগ খুবই সীমিত এবং সেগুলোও আরামদায়ক নয়। নিরাপত্তার অভাব তো রয়েছেই। ধনী গরীবের আয় বৈষম্য চরম আকার ধারণ করা একটি শহরে, যানজট এবং বায়ু ও শব্দ দূষণ কমাতে সহায়ক এমন পরিবহন ব্যবস্থা খুবই প্রয়োজনীয়।

প্রথমতো, ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা একদম শোচনীয়। অপর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি এবং অপরিকল্পিত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এর পেছনে দায়ী। সড়কে অপ্রতুল জায়গা এবং এলোমেলো ও অনির্ধারিত পরিবহন রুটের কারণে শহরের অধিকাংশ জায়গাতেই তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। যদিও নগরবাসী চলাচলের জন্য অধিকাংশ সময় বাসের ওপরই নির্ভর করে, কিন্তু নিরাপত্তা ও আরামের অভাবে এটিও তেমন আকাঙ্ক্ষিত নয়। ঢাকা শহরের রাস্তায় তিন ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা লক্ষ্যণীয়- গণ, ব্যক্তিগত এবং মালবাহী পরিবহন ব্যবস্থা।

  • বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত ঢাকায় দুই লক্ষ ৯৮৫টি নিবন্ধনকৃত মোটরযান রয়েছে।
  • গণপরিবহন ব্যবস্থা

  • ব্যক্তিগত এবং মালবাহী পরিবহন ব্যবস্থা

  • পরিবহন অবকাঠামো

  • ভ্রমণ এবং যানবাহনের চাহিদা

শহরের জনসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে ২০৩৫ সাল নাগাদ ঢাকার মোট জনসংখ্যা হবে ৩ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি। নীচের সারণীটিতে বর্তমান অবস্থার নিরিখে ভবিষ্যতে ভ্রমণ এবং পরিবহন চাহিদা কেমন হতে পারে তার একটি ধারণা দেয়া হয়েছে:

  • বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে মোট ট্রিপের সংখ্যা

ঢাকা বাস নেটওয়ার্ক স্টাডির (ডিটিসিএ’র অধীনে) একটি গবেষণা অনুযায়ী, প্রতিদিন ৩০ শতাংশ মানুষ বাসে ভ্রমণ করে, ৩৮.৩০ শতাংশ মানুষ নির্ভর করে রিক্সার ওপর, ১৯.৮০ শতাংশ মানুষ হাঁটে, ৬.৬০ শতাংশ সিএনজি ভাড়া করে, ৫.১০ শতাংশ মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ০.২০ শতাংশ মানুষ যাতায়াতের জন্য ট্রেন ব্যবহার করে।

এখানে, বর্তমানে ট্রিপের হারের ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের ট্রিপের হার কেমন হতে পারে তার একটি মোটামুটি হিসাব তুলে ধরা হলো।

এই ধরনের অপরিকল্পিত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। কেননা তারা তাদের মূল্যবান সময়ের বেশিরভাগই যানজটে নষ্ট করে ফেলছেন। শহরের এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি সময় লাগে। চলাচলের ক্ষেত্রে মানুষ প্রতিদিন আরো প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে-

  • যানবাহনে অত্যধিক ভিড়

আমাদের শহরে যানজটের চেয়ে যন্ত্রণাদায়ক আর অন্য কিছু নেই। যানবাহনের গতি ঘন্টায় ২১ কিলোমিটার থেকে সাত কিলোমিটারে নেমে এসেছে, যা কিনা হাঁটার গতি থেকে সামান্য বেশি। এর ফলে এই শহরে প্রতিদিন প্রায় ৩২ লক্ষ কর্মঘন্টা নষ্ট হচ্ছে। একজন মানুষকে ঘন্টার পর ঘন্টা গাড়ির হর্ন, বাসের বিষাক্ত ধোয়ার মাঝে জ্যামে বসে কাটাতে হয়।

  •  গণপরিবহনের বেহাল দশা

শহরের মানুষের কাছে গণপরিবহন হিসেবে বাস, রিক্সা, সিএনজি, লেগুনা, পাঠাও এবং উবার সহজলভ্য। ঢাকায় বাসই সবচেয়ে সাশ্রয়ী গণপরিবহন। কিন্তু বাসগুলোর বেহাল দশার কারণে সেগুলো একদমই আরামদায়ক নয়। বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণের অপেক্ষা, অতিরিক্ত যাত্রী এবং আবাসিক এলাকা থেকে বাসস্টপের দীর্ঘ দূরত্বসহ নানা সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। তালিকার দ্বিতীয়তেই রয়েছে রিক্সা এবং সিএনজির নাম, যেগুলো মানুষ একটু বেশি টাকা খরচ করেই ব্যবহার করে। পাঠাওয়ের ব্যবহার বাড়ার ফলে সড়কগুলোতে মোটরসাইকেলের আধিক্য সৃষ্টি হয়েছে, যেকারণে যানজট এবং মারাত্মক দুর্ঘটনা, দুটোই বেড়েছে।

  • যথাযথ সমন্বয়ের অভাব

যেহেতু আমাদের বিভিন্ন ধরনের গণ এবং ব্যক্তিগত পরিবহন রয়েছে, সেহেতু তাদের মধ্যে যথাযথ সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে। তা না হলে তারা ট্রাফিক আইনের তোয়াক্কা না করে এলোমেলোভাবে রাস্তায় চলাচল করবে। কিন্তু এই সমন্বয়ের অভাবেই যানবাহনগুলো ট্রাফিক আইনের প্রতি বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ না করেই অনির্দিষ্ট লেনে চলাচল করে, যেখানে সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠায়।

  • অপর্যাপ্ত পার্কিং এর জায়গা

শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে প্রয়োজনীয় পার্কিং সুবিধা না থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে রাস্তাগুলোর পাশেই তাদের গাড়ি পার্ক করছে। এর ফলে সরু সড়ক আরো সরু হয়ে পড়ছে। বিভিন্ন বড় বড় ভবন, শপিং মল এবং অফিসে শহরে চলাচল করা গাড়ির তুলনায় প্রয়োজনীয় পার্কিং এর সুবিধা নেই। এটিও শহরের যানজটকে বাড়িয়ে তুলছে।

  • অপ্রতুল পথচারী সুবিধা

শহরের অধিকাংশ ফুটপাতই হকারদের মতো ছোট ব্যবসায়ীদের দোকানের দখলে। এরফলে পথচারীরা ফুটপাত ছেড়ে প্রধান সড়কে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে। অসুবিধাজনক জায়গায় অপরিকল্পিত ফুটওভারব্রিজ স্থাপনের ফলেও পথচারীদের নিরাপদ চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পর্যাপ্ত পথচারী সুবিধার অভাবেই শহরের অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে।

  • সমন্বয়হীন ফ্লাইওভার নির্মাণ

ফ্লাইওভার এবং এক্সপ্রেসওয়ে যানজট কমাতে সহায়ক হওয়ার কথা থাকলেও ভুল নকশা এবং অদূরদর্শিতার কারণে এগুলো তেমনভাবে প্রভাব ফেলতে পারছে না। ফ্লাইওভারগুলো রাস্তার মোড়ে মোড়ে শেষ হওয়ায় সেগুলো যানবাহনের স্তুপে পরিণত হয়। এছাড়াও পিক আওয়ারে ফ্লাইওভারগুলোর যানবাহন ধারণক্ষমতা আশংকাজনক হারে কমছে।

রাস্তার অবস্থা এবং তীব্র যানজটের বিষয়টি নজরে নিয়ে সরকার একটি কার্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। সেগুলো হলো-

1.  ২০১৪-১৫ সালে সরকার একটি সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) অনুমোদন করেছে। পরিকল্পনায় ২০ বছরে সরকারি ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনায় যেগুলো নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলো হলো-

  • পাঁচটি মেট্রো রেললাইন। 
  • দুটি দ্রুতগামী (র‍্যাপিড) বাস রুট।
  • ১২০০ কিলোমিটারের নতুন রাস্তা, যা বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ। 
  • ছয়টি এলেভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং তিনটি চক্রাকার রাস্তা।

2. বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম

এই পরিকল্পনাটি গাজীপুর এবং ঢাকা বিমানবন্দরের মধ্যকার চলাচলকে স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করতে হাতে নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে এই পথটুকু অতিক্রম করতে সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট।

  • বিআরটি প্রজেক্টের অধীনে বাসগুল বিদ্যমান ছয় লেনের রাস্তায় একটি নির্দিষ্ট লেন ধরে চলবে।
  • বিআরটি প্রজেক্টটি দুই ভাগে বিভক্ত: একটি গাজীপুরের শিববাড়ি থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত। অন্যটি বিমানবন্দর থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত।
  • বিআরটির প্রথম ধাপের নকশা অনুযায়ী, শিববাড়ি-বিমানবন্দরের ২০.৫ কিলোমিটার রাস্তাটিতে ২৫টি স্টপেজ, ছয়টি ফ্লাইওভার, টঙ্গীর তুরাগ নদীর ওপরে একটি আট লেনের ব্রিজ এবং টঙ্গী থেকে উত্তরাতে ৪.৫ কিলোমিটারের একটি এলিভেটেড রাস্তা থাকবে।
  • প্রতি ঘন্টায় ১০০টি বাসে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ রাস্তার দুইপাশে চলাচল করতে পারবে। প্রত্যেক স্টপেজে প্রতি তিন মিনিট অন্তর বাস পাওয়া যাবে।
  • যাত্রীরা একটি প্রদত্ত স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে সেবাটি গ্রহণ করতে পারবে এবং প্রত্যেকেরই আবশ্যিকভাবে ইনস্যুরেন্স পলিসি থাকবে।

3. মেট্রো র‍্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম

এটি একটি ২০ কিলোমিটারের মেট্রোরেল সেবা যা পাঁচটি মেট্রোরেল ব্যবস্থার মাধ্যমে গড়ে উঠছে। এগুলো ঢাকা, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ এবং নরসিংদী জেলা জুড়ে থাকবে। এগুলোর মধ্যে একটি ইতোমধ্যে নির্মাণাধীন রয়েছে। ২০২০ সালে এটির কাজ সমাপ্ত হওয়ার আশা করা হচ্ছে। বাকি চারটির নির্মাণও ২০৩৫ সালের মধ্যে শেষ হবে। ঢাকায় চলমান প্রকল্পটিতে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনের কথা বলা হয়েছে। এর অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-

  • প্রতি তিন মিনিটে ১৪টি ট্রেন চলাচল করবে। এগুলো প্রতিঘন্টায় দুই দিকেই ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে।
  • উত্তরার শেষ প্রান্ত থেকে মতিঝিল পর্যন্ত, এই ২০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রমের জন্য সময় লাগবে মাত্র ৩৫ মিনিট। প্রত্যেকটি ট্রেনে ছয়টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগি থাকবে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিটিআরসি) ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে ঢাকার রাস্তায় ৬০০ টি নতুন বাস নামানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৩০০টি দোতলা বাস থাকবে। এর মাধ্যমে বাসে যাত্রীদের ভিড় কমানোর আশা করছে তারা।

কর্তৃপক্ষ ফ্লাইওভার, চক্রাকার জলপথ, এলেভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করে রাস্তাগুলোর ওপর গাড়ির চাপ কমিয়ে মানুষের চলাচলকে আরো স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করতে কাজ করছে।

কিন্তু যানবাহনের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা সরকারকে একটি ভালো সমাধান খুঁজে পেতে বাধাগ্রস্ত করছে। নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, পর্যাপ্ত গণপরিবহন নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ প্রয়োজন। এর সাথে সাথে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারকে একটি কার্যকর পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। যদিও গণপরিবহন সংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে, কিন্তু এগুলো শহরের যানজটকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। যদি অবকাঠামোগুলোর নির্মাণ নির্ধারিত বছরের মধ্যে সমাপ্ত না হয়, তাহলে এই শহরে বসবাস মোটামুটি অসম্ভব হয়ে পড়বে।
একটি কার্যকর পরিবহন ব্যবস্থার অভাবে ঢাকার অর্থনৈতিক কার্যকরতা এবং পরিবেশের টেকসইতা হুমকির মুখে পড়ছে। বিদ্যমান পরিবহনগুলোর অবস্থার অবনতি, পরিকল্পিত অবকাঠামো ও যাথাযথ সেবার অভাব অনেক সময় নষ্ট করছে, খরচ বাড়াচ্ছে এবং সর্বোপরি নাগরিকদের জীবনমান কমিয়েছে।

 

কৌতূহলোদ্দীপক প্রাসঙ্গিক বিষয়

এই বিশাল সমস্যাটির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তাদের নিজস্ব গাড়ি নেই কিংবা ব্যক্তিগত পরিবহনের সামর্থ্যও নেই। প্রায় সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েরই বিভিন্ন রুটে তাদের নিজস্ব বাস সার্ভিস রয়েছে। কিন্তু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই সুবিধা না থাকায় সেখানকার শিক্ষার্থীরা সমস্যাটির ভুক্তভোগী সবচেয়ে বেশি হচ্ছে।
ইউল্যাবের শিক্ষার্থী আয়েশা এম. আফরিন বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বিনামূল্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চমৎকার বাস সার্ভিস দিচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হলো, এগুলো কেবল আমাদের দুটি ক্যাম্পাস রুট- ধানমন্ডি থেকে রামচাঁদপুরেই চলাচল করে। আমি খিলগাঁও থাকি। দুই ঘন্টার ভয়ংকর বাস জার্নি করে আমাকে ধানমন্ডি আসতে হয়। কেবল তখনই আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রি বাস সার্ভিস সুবিধাটি পাই।” ইউআইইউ এবং ব্র্যাকের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন রুটে বাস সার্ভিস চালু করলেও সেগুলো ফ্রি নয়। ইউআইইউ তাদের নন এসি বাসগুলোর জন্য প্রতি সেমিস্টারে ৪০০০ টাকা বাড়তি আদায় করছে। আর ব্র্যাক তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি ট্রিপে ১০০ টাকা করে নেয়ার পরিকল্পনা করেছে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির একজন শিক্ষার্থী বলেন, “অবশ্যই এটি অনেক বেশি। ধরুন, আপনি দিনে দুইবার বাসগুলো ব্যবহার করলেন। তাহলে আপনাকে ২০০ টাকা গুণতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি অনেক বড় অংক।”

 

 

 

 

 

গণপরিবহন: সুবিধা এবং সুলভতা

Dhaka, the capital city of Bangladesh is a growing megacity with a population of almost 9 million. With the tremendous development in industrialization and urbanization, the city has emerged as the powerhouse of all economic activities. Every day, more and more people from other cities are moving to Dhaka in search for a new life with better employment opportunities which has marked Dhaka to be one of the most densely populated cities in the world.

With the rapid increase in population, the city’s overall growth has been stunted with several socio-economic problems pushing the city to become the second least livable city in the world. This negative impact of over-population is reflected through the chronic traffic congestion, exacerbated by the atrocious environment pollution. The city no longer holds the capacity to provide sustainable urban transport infrastructure and it is one of the very few megacities without a proper and well-planned mass transit system. The options available to the common people of the city are quite limited and does not render any comfort, safety and lacks proper ventilation. In a city, where there is a huge income gap between the rich and the poor, there is a massive requirement for an efficient means for transportation that can curb the hardships of the traffic congestion and altogether reduce the air and noise pollution.

First of all, Dhaka has a terrible traffic system followed by an inefficient traffic management system and an unplanned road network system. The inadequate road space and the haphazard ways in which the transports move about in unspecified routes, all lead to the harrowing traffic congestion in most parts of the city. Even though the bus transit system is the one used mostly by the residents, it is less desirable due to the lack of safety, comfort and reliability. In the roads of Dhaka city, the available forms of the transport system are of three types- Public, Private and Freight transport System.

  • According to the Bangladesh Road Transport authority, as of March 2019, there are a total of 200,985 registered motor vehicles in Dhaka.
  • Public Transport System:
  •  
  • Private Transport and Freight transport system:
  •  
  • Transport Infrastructure:
  • Travel and traffic demand: The population is increasing and it is expected that Dhaka will have more than 35 million people by 2035. The following table makes an estimate of the future travel and traffic demand based on its present condition:
  • Total trips on different modes of transportation : According to a study conducted by Dhaka Bus Network Study (under DTCA), it shows that on a daily basis, 30% people take the bus, 38.30% take the Rickshaw, 19.80% walk, 6.60% take the CNG, 5.10% use the car and about 0.20% people use railway to commute. 11 Here, is an estimate of the future rate of trips by different transports based on the trip rates in the present.

Due to all this unplanned road network system, the people are the worst sufferers as they lose most of their valuable time of the day stuck in traffic. It takes way longer than it should to get from one point in the city to the other. Regarding the commute, more challenges faced by the people everyday are

  1. Traffic Congestion: Nothing in the city can be as tormenting as the condition of the traffic congestion in our city. The traffic speed has dropped from 21 km to 7 km, which is a little more than average walking speed has us sacrificing 3.2 million working hours per day. One has to sit in the traffic for hours, in the midst of hundreds of honking cars while poisonous fumes emitted from nearby busses hover over our heads.
  2. Poor condition of the public transports: The public transports that are accessible to the people in the city are buses, rickshaw, CNGs, Leguna, Pathao and Uberrides. Busses are the cheapest mass transit modes available in Dhaka but are constrained by poor service conditions. Long waits, delays, overloading and lengthy walks from the residence/work place to bus stops are a few of the problems that users confront every day. CNGs and rickshaws comes second in the list as people use it at the expense of higher costs. The use of Pathao has infiltrated the roads with motorcycles which has led to more congestion and deadly accidents.
  3. Lack of proper coordination: As we have different types of public and private transports in the road, there needs to be a proper coordination among them otherwise, they will move in haphazard ways without following traffic rules. The vehicles in the city move in unspecified lanes, buses stop here and there, showing total disregard for traffic rules.
  4. Insufficient parking Space: The lack of parking spaces in the cities prime areas has pushed the people to park in the side of the streets, making the roads narrower and less accessible to people. The available spaces 12 in different house buildings, shopping malls and offices are not enough compared to the number of cars that move around in the city. This also catalyzes the traffic congestion.
  5. Inadequate Pedestrian Facilities: The footpaths in our city serves the purpose of different small businesses like hawking as street vendors occupy the pavement by setting up shop. Whereas leaving the pedestrians to walk in the main roads. The unplanned installation of foot over bridges in inconvenient spaces also limits the safe movement of pedestrians. Lack of inadequate pedestrian facilities causes most of the road accidents in the city.
  6. Uncoordinated development of Flyovers: Even though flyovers and expressways are supposed to come to aid in alleviating the traffic congestion, it is however contributing to the problem due faulty designs and shortsightedness. The flyovers are off-ramped at intersections which converge the vehicles to a traffic stop and during peak hours the capacity of the flyovers to hold vehicles decrease alarmingly.

Addressing the condition of the roads and the alarming rate of traffic congestion in the city, the government has taken some initiatives to mitigate the problem by equipping the country with an effective public transit system. The steps taken by the government are-

  • In 2014-15, the government has commissioned a Revised Strategic Transport Plan (RSTP). The total public outlay proposed in the plan would be about Tk. 3.5 trillion over 20 years. The plan proposed to the building –
  1. Five metro rail lines
  2. Two rapid bus routes, and
  3. 1,200 kilometres of new roadways—double the existing major road network and
  4. Six elevated expressways and three-ring roads.
  • The Bus Rapid Transit System: The system aims to smooth the journey between Gazipur and Dhaka Airport which will take only 20 minutes
  1. The buses will run on a dedicated lane on the existing six-lane highway under the BRT project.
  2. The BRT project is divided in two parts: one from Gazipur’s Shibbari to Dhaka’s Hazrat Shahjalal International Airport, and the other from the airport to Keraniganj.
  3. According to the BRT Phase 1 design, the 20.5km Shibbari-Airport route will have 25 stoppages, six flyovers, an eight-lane bridge over the Turag river at Tongi and a 4.5km elevated road from Tongi to Uttara.
  4. Around 25,000 people are expected to commute on the BRT on both sides every hour in 100 articulated buses. Stations will see a bus arrive every three minutes.
  5. Passengers will be required to use a smart card to use the service and will be covered by a mandatory insurance policy.
  • The Metro Rapid Transit System: It is a 20km metro rail service consisting of five metro rail system that will cover Dhaka city, Gazipur, Manikganj, Munshiganj, Narayanganj, and Narshingdi districts. Among which one is already underway and is planned to be completed by 2020. The other four are to be completed within 2035. The project on line-6 consists of 16 stations stretches from north Uttara to Motijheel. Other features of the system are
    • 14 trains would operate every three minutes and carry 60,000 passengers every hour in both directions.
    • The estimated time to travel the 20km distance, from the north end of Uttara to Motijheel, is 35 minutes. The trains would have six cars each, all airconditioned.
  • Bangladesh Road Transport Corporation (BTRC) is planning to launch 600 buses including 300 double-deckers from November 2019 to help reduce overcrowding in buses and on roads
  • The authorities are working on flyovers, circular waterways, the elevated expressway to elevate the pressure on the roads for the smooth movement of the people.

But with increasing number of vehicles, it is becoming problematic for the government to come up with a better solution. According to urban experts, pragmatic stems should be taken to ensure adequate mass transport and a government should come up with an efficient plan to better handle the traffic management. Even though the preparations of installing the new plans of public transits are already underway, it has worsened the condition of the traffic congestion in the city. If the infrastructure does not get completed in the following years, it will become impossible to reside in the city.

The lack of an efficient transport system poses a serious threat to the economic viability of the city and the sustainability of the environment. The deterioration of the condition of the available transport, lack of a planned infrastructure, proper operational services has led to loss of time, increased cost and overall fall in the standard of living of the people in the city

An interesting take on the topic:

The major sufferers of this massive problem are the students who don’t own private cars and cannot always afford private transportation. As most of the public universities have their own multiple bus services that follow different routes, the problem is faced mostly by private university students.

Ayesha M. Afrin, a student of ULAB says,” Our university provides an excellent bus service which is air conditioned and entails no cost but the problem is that it follows only routes from our two campuses, from Dhanmondi to Ramchadpur. I live in Khilgaon and it takes me two hours and a terrible bus ride to get to Dhanmondi, and only from there do I get to access this free bus service.” Other universities like UIU and BRAC have started their own bus services along multiple routeshowever the service is not free. UIU charges 4000 taka extra for this non-ac bus service per trimester, whereas BRAC plans to charge BDT 100 per trip for the students. A student of BRAC university commented, “Obviously it is (too much). Imagine if you take bus twice a day, that’d set you back BDT 200. A handful for students.”